মির্জাগঞ্জের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান
লিপটন মিত্র,মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি টিন শেডের নির্মিত । জড়াজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে যেকোন সময় হেলে পড়তে পারে বিদ্যালয়টি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বেড়েরধন নদীর তীওে এ বিদ্যালয় ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
এরপর থেকে বিদ্যালয়টিতে ভবন নির্মাণের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান প্রধান শিক্ষক। প্রতি আমাবশ্যা-পূর্ণিমার জোয়ারের সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পানিতে তলিয়ে যায়। কোনোভাবেই ক্লাশ নিতে পারেন না শিক্ষকরা। ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ জন শিক্ষক ও ৮০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ে নেই কোনো ভালোমানের স্যানিটেশন ব্যবস্থা। শ্রেণিকক্ষ ঘুরে দেখা যায়,পর্যাপ্ত বেঞ্চ না থাকায় একই বেঞ্চে ৪/৫জন গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছে। জোয়ারের সময়ে বেড়েরধন নদীর পানিতে বিদ্যালয়ের ৪টি কক্ষ হাঁটুসমান পানি উঠে তলিয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.আর.এম মিজানুর রহমান জানান, চলতি বছরে বিদ্যালয়টি জাতীয়করনের আওতায় আনা হয়েছে। এসব বিষয়ের তালিকা তৈরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অতি শিগশিগরই নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান