আমতলীতে মালটা চাষে চমক
মো: জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া অফিস বাজার সংলগ্ন ব্রীজএলাকার আলমগীর মাতুব্বর বাড়িতে মালটা চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। তার চারটি গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরেছে। উপজেলায় প্রথম মালটা ফল ধরেছে। প্রতিদিন তার মালটা গাছ ও ফল দেখতে আসে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, মালটা চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপজেলার ১২ জন চাষীকে গতবছর প্রশিক্ষণ দিয়ে ৪৮০ টি চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে। বৈশাখ ও ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে ষড়ভুজ ও বর্গাকার পদ্ধতিতে সারাদিন রোদ পরে এবং বৃষ্টিতে পানি জমে না এমন উচু ও মাঝারি জমিতে মালটা চাষ করতে হয়। মালটা পরঃরঁং ংরহবহরংং উদ্ভিদের ফল। ইংরেজি নাম ড়ৎধহমব। মালটা ফলটি জাম্বুরা (পরঃরঁং সধীরসধ) এবং কমলা (পরঃরঁং ৎবঃরপঁষধঃধ) এই দুই ফলের শংকরায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি একটি জনপ্রিয় ফল। পরীক্ষামূলক কৃষকরা চারা রোপন করেছে কিন্তু এখনো কোন ফলন ধরেনি। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, আলমগীর মাতুব্বরের বাড়ির চারটি গাছে মালটা ধরেছে।
গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় গাছে মালটা ঝুলে আছে। গাছের চারপাশ পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন। উচু ও মাঝারি জমিতে গাছ চারটি রয়েছে। মালটা চাষি আলমগীর মাতুব্বর বলেন, ২০১৪ সালে স্বরুপকাঠি থেকে আমতলী বাজারে আসা ভারমান এক চারা বিক্রেতার কাছ থেকে চারটি মালটা চারা ক্রয় করেছি। স্থানীয় গোবর সার ও কচুরীপানা পঁচা সার দিয়ে মাদা তৈরি করি। ওই মাদায় গাছ চারটি রোপন করি। প্রথমে ধনেই নিয়ে ছিলাম এ চারা চারটি হবে না। পরীক্ষামূলক চেষ্টা করে দেখি। কেননা এ অঞ্চলে মালটার চাষ হয় না। চারা রোপনের পরে প্রয়োজনীয় যতœ করেছি।