কাতার দখলে সৌদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত আমিরাতের ইমেইল ফাঁস
রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতায়বার একটি ইমেইলে বলা হয়েছে কাতারকে দখল করে নিলেই সবার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং সৌদি আরব কাতার দখলের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। ইউসেফ আল-ওতায়বা সম্প্রতি এ মেইলটি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। মিডিল ইস্ট মনিটর এ সংবাদ দিয়ে বলছে, ইমেইলটি কে বা কারা ফাঁস করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। গত মে মাসে সাবেক মার্কিন কূটনীতিক এলিয়ট আবরামসের কাছে লেখা ওই মেইলে ইউসেফ আল-ওতাইবা উল্লেখ করেন, আক্ষরিকভাবেই সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ কাতার দখলে কিছু একটা করার জন্যে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এ মেইলের জবাবে মার্কিন কূটনীতিক আবরামস বলেন, অবাক হচ্ছি, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা, নাটকীয় বটে! কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? ওতাইবা বলেন, কাতারের জনসংখ্যা আড়াই থেকে তিন লাখ। কাতারে বিদেশীরা প্রতিরোধ করবে না। পুলিশ কিংবা ভারতীয়রা প্রতিরোধ করবে না নিশ্চিত! কে যুদ্ধ করবে মরার জন্যে? কাতারে বাসিন্দাদের সিংহভাগই হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমিক। এটাই হচ্ছে উপসংহার। অতি সহজ ব্যাপার। এ পর্যায়ে আবরামস মন্তব্য করেন, ওবামা কাতার দখলের বিষয়টি ঘৃণা করতে পারেন। কিন্তু নতুন যিনি এসেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের প্রতিবেশি দেশ কাতারে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে দেশটি দখলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করতে পারেন।
আবরামসের মন্তব্যে সমর্থন দিয়ে ওতাইবা উত্তরে বলেন, ‘অবশ্যই।’ ওতাইবা পরামর্শ দিয়ে আরো বলেন, জর্ডানের উচিত কাতার দখল করে নেওয়া। হাশেমীদের উচিত কাতারকে দখল করে নেওয়া। আবরামস এবার মন্তব্য করেন, জর্ডান কাতার দখল করলে তাদের তহবিল সংকট মিটে যেত এবং সন্তাসের প্রতি কাতারের সমর্থনের সমস্যার সমাধান হত। মার্কিন কূটনীতিক আবরামস দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ডেপুটি এ্যাসিসটেন্ট ও বুশ প্রশাসনের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি এ্যাডভাইজার ছিলেন। তিনি বর্তমানে কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনের মিডিল ইস্টার্ন স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো। ওতায়বা ও আবরামসের এ মেইল বিনিময়ের এক মাস পর সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদ করে। অবরোধ আরোপ করা হয় কাতারের ওপর। তবে কাতার বরাবরই সন্ত্রাসে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমিরাতের দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এ মেইল সম্পর্কে মিডিল ইস্ট আই’কে বলেন, মেইলটি জেনুইন কি না তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার কোনটিই করার মত অবস্থানে নেই। মার্কিন কূটনীতিক আবরামসের প্রতিনিধির সঙ্গে মিডিল ইস্ট আই যোগাযোগ করতে পারেনি। সম্পাদনা : ফাতেমা আহমেদ