ক্ষমতার সমতা চাই : কিম
ইমরুল শাহেদ : তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতার সমকক্ষতা বজায় রাখা। উত্তর কোরিয়ার উপর সামরিক অভিযানের যেন চেষ্টা না করে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে কিম জং উনের এই বার্তা প্রকাশিত হয় উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যমে। কিম আরও বলেছেন, দেশের বিশেষজ্ঞদের কাজে তিনি অত্যধিক সন্তুষ্ট। মিসাইল প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর তরফে যতই নিষেধাজ্ঞা আসুক, তিনি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যেই সেই লক্ষ্য প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত উত্তর কোরিয়ার হাতে এমন পরমাণু অস্ত্র চলে আসবে যার সঙ্গে পেরে উঠবে না যুক্তরাষ্ট্র। আজকাল
অন্যদিকে, শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শেষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু পরীক্ষা ছেড়ে পরমাণু বিহীন হওয়া সম্পর্কে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উপর মিসাইল ওড়ানোর পর থেকেই উত্তর কোরিয়ার উপর ক্ষিপ্ত জাতিসংঘ এবং সারা বিশ্ব। এবিষয়ে আলোচনা করতেই বিশেষ বৈঠক ডেকেছিল নিরাপত্তা পরিষদ। উত্তর কোরিয়ার নতুন পরীক্ষাকে নির্দেশিকা লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদ মনে করছে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ এবং বার্তা ইচ্ছাকৃতভাবে আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতি বিঘিœত করার জন্য এবং বিশ্ববাসীর নিরাপত্তা নষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে। এর ফলে শুধু কোরিয়া উপদ্বীপই নয়, এশিয়ার শান্তিও বিঘিœত হবে। পরিষদের সদস্য দেশগুলোর মতে, জাপানের উপর মিসাইল ছোড়া অত্যন্ত উস্কানিমূলক। অবিলম্বে এধরনের কাজকর্ম বন্ধ করতে পিয়ংইয়ং-কে নির্দেশ দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদ বলেছে, যাবতীয় সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে জাতিসংঘ সদা তৎপর।