ফুলে ফুলে দ্বীজেন শর্মাকে শেষ শ্রদ্ধা
ফারুক আলম : ‘নিসর্গসখা’ লেখক দ্বিজেন শর্মা ফুলে-ফুলে সাজিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিলোত্তমা ঢাকাকে। তার সেই ‘ভালোবাসার’ ফুলেই তাকে শেষ বিদায় জানাল ভক্ত-অনুরাগী ও বন্ধুরা। দ্বিজেন শর্মাকে গতকাল সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাজধানীর সবুজবাগে বরদেশ্বরী কালী মন্দিরসংলগ্ন শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। দ্বিজেন শর্মার মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখান থেকে মরাদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া শেষে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্বিজেন শর্মার শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলা একাডেমি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৃথক শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কথাসাহিত্যিক হায়াৎ মামুদ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক প্রমুখ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে দ্বিজেন শর্মাকে শ্রদ্ধা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাংলা একাডেমিতে শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আগে মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, দ্বিজেন শর্মা একজন প্রকৃতিবিদ, চিন্তক ও সংগঠক ছিলেন। যারা নিসর্গবিদ হতে চান তিনি তাঁদের নিয়ে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বললেন, ‘দ্বিজেন শর্মার কাছ থেকে আমরা প্রকৃতিকে চিনেছি। তিনি হাতে ধরে ধরে আমাদের দেশের বিরল বৃক্ষের কথা শুনিয়েছেন। দ্বিজেন শর্মার মতো আরেকজন প্রকৃতিবিদ আমাদের নেই।’
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ২৩ আগস্ট দ্বিজেন শর্মাকে বারডেমের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতে সেখান থেকে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। দ্বিজেন শর্মা গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।