বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়েই এগোচ্ছে
মে. জে. আব্দুর রশীদন (অব.)
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনী যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তার ফল হিসেবেই আমরা এই চার লক্ষ মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখছি। এই নির্যাতন যদি বন্ধ না হয় তাহলে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় বাংলাদেশে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করবেই। এটা বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করার কথা, সে আমরা চলমান দেখছি। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। একটি রাষ্ট্র কতটুকু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তার জনগণের ওপরে নির্যাতন করবে সেটিকে বন্ধ করার দায় মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। সেখানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়েই এগোচ্ছে। ওখানে যতক্ষণ সেনা অভিযান বন্ধ না হবে ততক্ষণ রোহিঙ্গা ঢল বন্ধ হবে না। সেনা অভিযানে নির্যাতনের মাত্রা কমেছে কিনা সে সম্পর্কে কোনো তথ্য বিশ্ব এখনো পায়নি। কারণ ওখানে স্বাধীনভাবে সংবাদমাধ্যম কাজ করতে পারছে না। সেজন্য তথ্যের ঘাটতি আছে। এরকম একটা করা যেতেই পারে, যদি নির্যাতন বন্ধ না হয় তাহলে শরণার্থীর ঢল কমবে না। কতটুকু অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে সেটি বিশ্লেষণ করার মতো তথ্য এখনো গণমাধ্যমে আসেনি। এটিও আরেকটি চিন্তার বিষয় যে, তারা কাউকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশের কাজ হচ্ছে যারা এসেছে তাদের পাশে থাকা, তাদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া। রোগ শোক থেকে রক্ষা করা। সেটি বাংলাদেশের দায়িত্ব। মিয়ানমার সরকার যেন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়, তাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে বাধ্য হয় এ বিষয়ে বিশ্বজনমত একত্রিত করা।
পরিচিতি: নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান