স্কাই নিউজের সাংবাদিকের বর্ণনায় রাখাইনের নিপীড়িত রোহিঙ্গারা
বাংলাট্রিবিউন : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তার খানিক নমুনা প্রত্যক্ষ করার দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের সংবাদকর্মীরা। মিয়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে ওই পারে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা। স্কাই নিউজের প্রতিবেদক আশিষ জোশি এক প্রতিবেদনে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে আশিষ লিখেছেন, তিনি, প্রযোজক নেভিলে লাজারাস ও ক্যামেরাপার্সন পিট মিলনেস রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কাজ করছিলেন। একদিন মিয়ানমার সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ তারা ছোট্ট একটি মুদি দোকানের সামনে থেমে যান। দেখতে পান ধোঁয়ার কু-লী। একটু ভালো করে দেখার পর তারা বুঝতে পারলেন যেখানে বাংলাদেশের সীমানা শেষ হয়েছে এবং মিয়ানমারের সীমানা শুরু হয়েছে সেখানে এ ধোঁয়া উড়ছে। আশিষ লিখেছেন, ‘আমি শুনেছিলাম মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জ্বালাও পোড়াও অব্যাহত রেখেছে কিন্তু দিনের বেলা এবং এতোটা প্রকাশ্যে ওরা এমনটা করছে তা ধারণা করিনি। আমি ভেবেছিলাম আন্তর্জাতিক ক্ষোভ আর নিন্দা এড়াতে হয়তো তারা রাতের অন্ধকারে এমন দমন-পীড়নমূলক কর্মকা- চালাচ্ছে।
তবে সত্যি কথা হলো বিশ্ব সম্প্রদায় কী ভাবছে তা মিয়ানমারের জেনারেলরা পরোয়া করেন না। জাতিগত নিধনযজ্ঞ আর গণহত্যার অভিযোগ উঠলো কি উঠলো না তা নিয়ে তারা মাথা ঘামান না।’
মোহাম্মদ সায়েম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে আশিষ জানান, যে গ্রামটি জ্বলছিল সেখানে প্রায় ৬ হাজার মানুষের বসবাস। সায়েমের দাবি, দুই তিন আগে ওই আগুন জ্বলা শুরু হয়। আশিষ জানান, সায়েমের কাছ থেকে ওই কথা শোনার পর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনি নিশ্চিত?’ অং সান সু চি দাবি করে আসছিলেন রোহিঙ্গাদের দমন-পীড়নের ইস্যুতে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, কতিপয় ‘মুসলিম সন্ত্রাসীর’ বিরুদ্ধে অভিযান চলছে বলেও দাবি করে আসছেন তিনি। আর তাই সায়েমের কাছ থেকে জ্বালাও পোড়াও এর ব্যাপারে বার বার নিশ্চিত হতে চাইছিলেন বলে জানান আশিষ। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ