শিগগিরই পুনর্গঠন হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল বিচারপতি আমির হোসেনের নাম প্রস্তাব করে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
এস এম নূর মোহাম্মদ : মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিষ্পত্তির জন্য শিগগিরই পুনর্গঠন হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ দুই মাস চেয়াম্যানেরর পদ খালি থাকার পর জন্য পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাইব্যুনালের নিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার সঙ্গে গত ১২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে তার কার্যালয়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একজন বিচাপরতির নাম চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে। যার প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি আমির হোসেনের নাম প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি কেউই। তবে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে চেয়ারম্যান করা হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানাগেছে।
আর ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো.সোহরাওয়ারদীকে হাইকোর্টে ফেরত আনা হতে পারে বলে জানাগেছে। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিচারক (অবসরে যাওয়া) আবু আহমেদ জমাদারকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য করা হতে পারে বলে আলোচনা শুনাযাচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে দায়িত্বে থাকা প্রধান বিচারপতির সঙ্গ্যে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী শিগগিরই ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান নিয়োগসহ পুনর্গঠের কথা জানিয়েছে ছিলেন। গত ১৩ জুলাই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক মারা যান। এরপর আর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তার আগে তিনি অসুস্থ থাকায় দীর্ঘদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল। ওই সময় ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারপতি শুধু বিভিন্ন মামলার নতুন তারিখ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
চেয়ারম্যান না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম। চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য থাকায় বিচারাধীন ৩৩টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা যাচ্ছে না। ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রায় দিতে হলে তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে কোরাম পূরণ করতে হয়। তিনজন বিচারপতি ছাড়া রায় ঘোষণার কোনো সুযোগ নেই।
সূত্র জানায়, ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে সাতটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে, ১০টি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এবং ১৬টি মামলার শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানা গেছে।