সংকট মোকাবিলায় বিশ্বকে নিয়ে এগোতে হবে
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কূটনীতিকেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। কূটনৈতিকভাবেই এগোতে হবে। এজন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এইটাই হবে আমাদের প্রধান কাজ হবে। এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখতে পাচ্ছি, মিয়ানমার সরকারের পক্ষে চীন, ভারত, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারের সরকার তার মিথ্যা প্রচার অব্যাহত রেখেছে। অং সান সুচি গণহত্যার পক্ষে অনেক যুক্তি হাজির করছেন, যা একেবারে সঠিক নয়। সংকট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগকেই প্রধান্য দিতে হবে। সারাবিশ্বকে আমাদের পক্ষে রাখলেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।
বর্তমানে দেশে প্রায় ৮-১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। মানবিক কারণে তাদের জীবনে নিরাপত্তা দেওয়া, সব ধরনের দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। এজন্য আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সহায়তা দরকার। কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলা জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধনে কফি আনানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা। এর পরেও যদি পদক্ষেপ নিতে হয় সেটা নিতে হবে জাতিসংঘকে সঙ্গে নিয়ে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাথে রেখে। সেটাই হবে আমাদের জন্য সব কূল রক্ষা করে ভালোভাবে এগিয়ে যাওয়া। বিশ্বজনমত গঠনে যথেষ্ট তৎপরতা প্রথমদিকে ছিল না, যা এখন দেখা যাচ্ছে। সরকার প্রথমদিকে সংকটটি যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। কূটনৈতিক তৎপরতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আরও বাড়ানো দরকার বলে আমি মনে করি। জাতিসংঘে অধিবেশন চলছে। অধিবেশনে আরও ভূমিকা রাখা দরকার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের মিশ্র অবস্থা দেখছি আমরা। রাশিয়া ও চীনকে সংকটের মাত্রা ও পরিস্থিতি বোঝাতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় রাজনৈতিক ঐক্যে প্রয়োজনীয়। দেশের বড় কোনো সংকট হলে সবাইকে এক হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের সরকারগুলো অনেকসময় এটা করে না। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যায় না, সহযোগিতা কামনা করে না। তথাকথিত বিরোধী দল এটাকে ব্যর্থতা উল্লেখ করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। এই জায়গায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যে, বাংলাদেশ এখন অনেক বড় একটা সংকটে আছে। এই সংকট আমরা মোকাবেলা করছি। মিয়ানমার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে, এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পরিচিতি: সম্পাদক, সিপিবি
অনুলিখন: মাকসুদা যূথি/সম্পাদনা: আশিক রহমান