নারী অবহেলিত কেনো!
আমাদের সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি হলো নারীদের মূল্যায়ন না করা। সে আপনার মা হোক স্ত্রী কিংবা মেয়ে। সাংসারিক গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে আপনার উপস্থিতি যতটা অপরিহার্য তাদের উপস্থিতিটা কিন্তু ততটাই গুরুত্বহীন। তাদের মতামত গ্রহণেও অনেকটা শিথিলতা। অথচ রাসুলে কারিম সা. তার স্ত্রীদের সঙ্গে সব বিষয়েরই পরামর্শ করতেন। তাদের মতামতের ওপর গুরুত্বারোপ করতেন। এটাই তার সুন্নাত। এমনকি আমরা মেয়েদের কোন পছন্দ কিংবা মতেরও বিরোধী। যেমন: একটা সাবালিকা মেয়ের বিয়ের ক্ষেত্রে বর পছন্দের বিষয় থাকে। কিন্তু আমাদের অবস্থা পুরোই ভিন্ন। সবকিছু ঠিকঠাক করে তার কাছে মতামত নেই। যদি কোনমতে জানতে পারি; তার পছন্দের কেউ রয়েছে, তবে তো উঠেপড়ে লাগি অন্যকারো সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। যেখানে তার মত কিংবা পছন্দ নেই। তাই সারা জীবন একটা চাপা কষ্টই বিরাজ করে তাদের বুকে। অথচ ইসলামের বিধান এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট। নারীকে তার অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় আসতে হবে কেন! তাও আবার মুসলিম নারী। নিশ্চয়ই ঘরোয়া ভাবে এমন কিছুরই শিকার! অথচ পৃথিবীর সকল ধর্ম থেকে ইসলামেই তাকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। দেওয়া হয়েছে রাণীর মর্যাদা। আর আমরা ছিনিয়ে নিচ্ছি তাদের থেকে সে অধিকার। এর একমাত্র কারণ আমাদের রক্তে এখনো বিদ্যমান ভিন্ন ধর্মের কালচার। আপনি হয়তো খুঁজে দেখবেন কয়েক পুরুষ ব্যবধানেই ধর্মের ভিন্নতা। এজন্যই এসব ছাড়তে পারছি না আমরা। এমনকি বিধবা বিবাহের প্রচালন একেবারেই ক্ষীণ। আবার পুরুষ কতৃক একাধিক বিবাহটাও অপছন্দনীয় নারী সমাজে। অথচ ইসলাম কোনকালেই সমর্থন করেনি এসব। এ মুহূর্তে শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে হলে পূর্ণরূপে ইসলামি কালচারের মধ্যে আসতে হবে। সমাজের সব অনৈতিক বৈরি থেকে বেরোতে হবে। তবেই ফিরে পাবে সবাই তাদের ন্যায্য অধীকার। নারীরা পাবে রাণীর মর্যাদা।