রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে
সাজ্জাদ হোসেন স্বপন
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুকে যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে বিষয়টিকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা একটি দৃষ্টান্ত। পৃথিবীতে খুব কম দেশই আছে যেদেশের সরকার প্রধান এইভাবে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখে, পাশাপাশি প্রতিবেশীর দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ায়। তিনি ছুটে গিয়েছেন রোহিঙ্গাদের কাছে, যেমনিভাবে ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী ছুটে এসেছিলেন আমাদের পাশে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও এইভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল । মিয়ানমার যে ঘটনা ঘটিয়েছে এবং চলমান জাতিগত নিধনযজ্ঞ খুবই ন্যাক্কার জনক ও নিন্দনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়ায় জাতিসংঘের ধন্যবাদ পেয়েছেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সর্মথন পেয়েছেন। তবে রোহিঙ্গারা যেহেতু মিয়ানমারের নাগরিক, তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত যেতে হবে। কারণ, তাদের মাতৃভূমি, তাদের দেশ, তাদের জমাজমি, সম্পদ সব ওই দেশে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে কুটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে ইতিমধ্যে একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অং সান সু চি ও মিয়ানমারের সেনা প্রধানের বক্তব্যে একটা নমণীয় ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে। কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ দেশে পূণর্বাসিত করতে দল মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে বিশেষ করে কূটনৈতিক মিশন গুলোতে কর্মরত ব্যক্তিবর্গকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। কেননা, ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে বেশিদিন রোহিঙ্গাদের রাখা ঝুঁকিপূর্ণ।
পরিচিতি: ১ম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগ
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ