ডিজিটাল পাঠদানে শিক্ষকদের অনাগ্রহ!
মো.ওসমান গনি
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ৪০ মিনিটের একটি ক্লাসের জন্য কনটেন্ট তৈরিতে ২-৩ ঘণ্টা লেগে যায়। এটা যেমনি শ্রমসাধ্য, তেমনি অধ্যয়নেরও বটে। এ কারণে শিক্ষকদের অনেকেই এদিকে মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে কোচিং-টিউশনিতে বেশি আগ্রহী। তাই কেউ হয়তো কনটেন্ট না বানিয়েই পাঠদান করেন। আবার কেউ পোর্টাল থেকে কনটেন্ট কাস্ট-পেস্ট (শিক্ষক পোর্টাল থেকে হুবহু নেওয়া) করে চালিয়ে দেন। গ্রামাঞ্চলের অনেক শিক্ষক বলে থাকেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কম বেতন হওয়ায় তারা কোচিং-টিউশনির প্রতি বেশি আগ্রহী হন।
ব্যানবেইসের (বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো) তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৭৬ শতাংশ বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আছে। এ ধরনের প্রায় ৮৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সুবিধাও আছে। কুমিল্লার চান্দিনার কংগাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক কলিম উল্লাহর মতে, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস করালে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে খুব বেশি মনযোগী হয়। তারা তথ্য-প্রযুক্তি সমন্ধে জানতে খুব আগ্রহী। কিন্তু এখানে সমস্যা হলো আমাদের শিক্ষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে সঠিক ভাবে বিষয় বস্তু উপস্থাপন করা যাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে সরকারের উচিত আগে শিক্ষকদের লম্বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। কারণ স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণে শিক্ষকরা পুরোপুরি বিষয় বস্তু আয়ত্ত করতে পারে না। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল গুলোতে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শিক্ষকদেরকেও আন্তরিক হতে হবে।(সমাপ্ত)
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
মধহরঢ়ৎবংং@ুধযড়ড়.পড়স
সম্পাদনা: আশিক রহমান