শরণার্থী শিবির থেকে এশিয়ান গেমসে
স্পোর্টস ডেস্ক: সাউথ সুদান থেকে কেনিয়ার দূরত্ব কত? গুগল বলছে এক হাজার ৬০ কিলোমিটার। গাণিতিক এই দূরত্ব আজ জীবন আর মৃত্যুকে আলাদা করেছে সাউথ সুদানবাসীকে। কেনিয়ায় তারা শরণার্থী। তবু থেমে নেই জীবন। সব কষ্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাঁচজন অংশ নিয়েছেন এশিয়ান গেমসে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ৬০টি দেশের প্রায় ৫ হাজার অ্যাথলেট বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন। আসর শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। কেনিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে আছেন ইয়েচ পুর বেইল, গাই নিয়াং, পুওক ডেং, পাওলো অ্যামোটুন লোকোরো এবং উকুক উথু।
২২ বছর বয়সী ইয়েচ পুর বেইল ২০১৬ সালে অলিম্পিক গেমসে ‘রিফিউজি অলিম্পিক টিমে’র হয়ে কোর্টে নেমেছিলেন। ওই বছর প্রথমবারের মতো কোনও শরণার্থী দল অলিম্পিকে অংশ নেয়। বেইল বলছেন, সেই অভিজ্ঞতা তাকে এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছে। বেইল ৮০০ মিটার হিটে চতুর্থ হয়ে সেমিফাইনালে যান। সেখানে পঞ্চম হন।
২৪ বছর বয়সী উথু এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে নামেন। প্রথমবারই তিন হাজার মিটারের ফাইনালে পৌঁছে যান। শেষ পর্যন্ত ১২ জনের ভেতর সপ্তম স্থান দখল করেন। অন্য তিনজন ফাইনাল রাউন্ডে পৌছাতে না পারলেও এশিয়ান গেমসের মতো আসরে অংশ নিতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন। পাচ্ছেন নতুন করে বেঁচে থাকার সাহস। কেনিয়ার বিশ্বরেকর্ডধারী দৌড়বিদ তেগলা রোরৌপ শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২০ জন অ্যাথলেটের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করে ওই পাঁচজনকে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেন। ইন্টারনেট