সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইতে ২৩৬ কোম্পানির দরপতন
মাসুদ মিয়া : টানা তিন সপ্তাহ পুঁজিবাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহে কিছুটা সূচকের পতন ঘটেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক ৫৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারটিতে লেনদেন কমেছে প্রায় এক শতাংশ। এর আগে ঈদুল আজহার আগে দেশের পুঁজিবাজারে দেখা দেয়া চাঙা প্রবণতা ঈদের পরের দুই সপ্তাহ অব্যাহত থাকে। ফলে টানা তিন সপ্তাহ মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায় ডিএসইর তিনটি সূচকই। সেই সঙ্গে রেকর্ড সৃষ্টি হয় বাজার মূলধনেও। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই দরপতন ঘটেছে। প্রতিদিনই দর হারিয়েছে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। তবে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্যেও ব্যাংক কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বেড়েছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য সূচকের বড় পতন ঘটেনি। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৮৮ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ১ দশমকি ৪৫ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১০৮ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১২১ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ২ দশমকি শূন্য ৬ শতাংশ। অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৪৬ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ৩৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ২৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। অপরদিকে শেষ সপ্তাহে ডিএসই শরিহ সূচক কমেছে ২৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৩৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ২৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৬ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ২৩৬টিরই দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দাম। শেষ সপ্তাহে মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে মোট ও দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২২১ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ২৩২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। অপরদিকে শেষ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ১০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।