অক্টোবরে শুরু হবে মাতুয়াইল সেনিটারি ল্যান্ডফিল্ড প্রকল্পের কাজ
শাকিল আহমেদ : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৭৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতুয়াইলে সেনিটারি ল্যান্ডফিল্ড সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প অবকাঠামোর কাজ আগামী অক্টোবরে শুরু হবে। এর মধ্যে শুধু জমি অধিগ্রহণের জন্য ৫১৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কাগজ-কলমে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন (ডিএসসিসি) সহকারী প্রকৌশলী (বর্জ্য) আ হ ম আব্দুল্লাহ হারুন।
রাজধানী ঢাকায় দৈনিক সাড়ে ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৫শ টন বর্জ্য সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ল্যান্ড ফিল মাতুয়াইলে রাখা হলেও বাকি ১ হাজার টন বর্জ্য নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে যাচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এর আগে ১৯৯০ সালে ৫০ একর ও ২০০৬ সালে ৫০ একরসহ মোট ১০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে ডিএসসিসি। কিন্তু সময়ের সাথে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ড ভরে যাওয়ার ফলে বেকায়দায় পড়ছে সংস্থাটি। ফলে নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ৭৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। এর মধ্যে ৮১ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ৫১৪ কোটি টাকা ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। চলতি বছরের ২৮ মার্চ প্রকল্পটি একনেকে পাশ হয়। ৮১ একরের মধ্যে ৫০ একর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ও বাকি ৩১ একর ওয়েস্ট এনার্জির জন্য ব্যবহার করা হবে। ২০১৫ সালে ডিএসসিসি মোট আবর্জনা অপসারণ করে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৪ টন। সে হিসাবে দৈনিক আবর্জনা অপসারণের গড় ১ হাজার ৮০০ টন। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিএসসিসি মোট আবর্জনা অপসারণ করেছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৩ টন। সেই হিসাবে দৈনিক আবর্জনা অপসারণের গড় ১ হাজার ৯০০ টনের কিছু বেশি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সহকারী প্রকৌশলী (বর্জ্য) আ হ ম আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির সাথে কথা চলছে। যদি তাদের সাথে বসে ভালো কিছু হয়ে যায় তাহলে বর্জ্য অপসারণের জন্য আর যায়গা কিনতে হবে না। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ