আমাকে কেউ দেখতে আসে না : মুক্তামনি
মাসুদ আলম : রক্তনালীতে টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামনির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। গতকাল শনিবার সকালে তার ডান হাতের ড্রেসিং করানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার আরেকটি অপারেশন করা হবে। তবে তার আরও ৩ থেকে ৪টি অপারেশন লাগতে পারে। সারাক্ষণ খোশগল্পে বাবা-মা ও ভাই-বোনের সঙ্গে মেতে থাকে মুক্তামনি।
মুক্তামনি বলেন, আপনারাতো (সাংবাদিক) এখন আর আসেন না। আগে কত মানুষ। কত সাংবাদিক আসতো। মনে হয় সবাই আমাকে ভুলে গেছে। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে বাড়ি। কতদিন ধরে বাড়ি যাই না। বাড়ির কথা মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে।
মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, শনিবার সকালে হাতের ড্রেসিং করার জন্য অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ড্রেসিং শেষে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তবে ভাল আছে সে। কয়েকদিন ধরে মুক্তামনি বলছিলো আগের মতো কেউ তাকে দেখতে আসে না। সবাই তাকে ভুলে গেছে। আগে কত মানুষ আসতো। আমার মেয়ে আগের চেয়ে ভালো আছে। অপেক্ষায় আছি কবে সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে। বাড়ির কথা মনে পড়লে তার মন খারাপ হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে কান্নাও করে সে। তবে হাসপাতালে সবাই থাকায় বেশি একটা খারাপ লাগে না। চিকিৎসকরা নিয়মিত তার খোঁজখবর নিচ্ছেন। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। মুক্তামনির হাতে প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার হয় ১২ আগস্ট। ওই সময় মুক্তামনির ডান হাত থেকে প্রায় ৩ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করেন চিকিৎসকেরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শনিবার তার ড্রেসিং করা হয়েছে। মুক্তামনি ভালো আছে, তেমন কোনো সমস্য নেই। এ সপ্তাহে তার আরও একটি অপারেশন করা হবে। সব মিলিয়ে মুক্তামনির পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও ৩ থেকে ৪টি অপারেশন লাগতে পারে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ