৬ বছরের পুরনো ইভিএম নষ্ট করবে ইসি
সাইদ রিপন : দক্ষ জনবল না থাকায় ৬ বছরের পুরানো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জানা গেছে, ইভিএম ব্যবহার না করায় এগুলোতে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর একটু সমস্যা হলেই এগুলো ঠিক করার মতো দক্ষ জনবল নেই ইসিতে। যার কারণে ইসির কর্মকর্তারা এগুলো নষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যেসব ইভিএম কাজ করার মতো অবস্থায় নেই। সেগুলো নষ্ট করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি কমিশন সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় তার জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কমিশন সভার কার্যপত্রে বলা হয়, বর্তমান ইভিএমগুলো ফিনিশড প্রোডাক্ট নয় এবং এগুলো ৬ বছরের বেশি পুরানো হওয়ায় এর কার্যক্ষমতা নেই। এছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সময়ে সৃষ্ট কারিগরি ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হয়নি। ভবিষ্যতে ইভিএম ব্যবহারে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা সমাধান করা দুরূহ হতে পারে। এছাড়া ওই সভায় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে কিভাবে ইভিএম ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে বলেও জানায় ইসি সূত্র।
সূত্র আরো জানায়, ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়। পরে নায়ায়ণগঞ্জের কয়েকটি ওয়ার্ডে, নরসিংদী পৌরসভা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পুরো নির্বাচন ইভিএম ব্যবহার করা হয়। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন রাজশাহী ও রংপুরে ছোট পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক পুরানো হওয়ায় বেশিরভাগ ইভিএম অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। যেগুলোর ত্রুটি ঠিক করা যায়নি সেগুলো নষ্ট করা ছাড়া উপায় নেই। কোন প্রক্রিয়ায় এগুলো নষ্ট করা হবে তা কারিগরি টিমের সহায়তা নিয়ে ঠিক করা হবে। তবে এরমধ্যে কিছু ইভিএম এখনও ভালো রয়েছে। এগুলো দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ