অসুস্থদের সেবায় আল্লাহর সন্তুষ্টি
আবু তালহা তারীফ
রোহিঙ্গাদের উপর বর্ববরতার করুণ চিত্র বিশ্বের এমন কোনো মানুষ নেই যে উপলব্ধি না করছে। যারা অত্যাচারিত হয়ে আত্মীয় স্বজনদের হারিয়ে বাংলাদেশে মাথাগুজার একটু ঠাই পেয়ে অশ্রুভরা নয়নে কাঁদছে তারা তাদের অত্মীয় হারার শোকে আর নিজস্ব বসত ভিটার হারিয়ে। তারা শুধু আত্মীয় হারায়নি হারিয়েছে তাদের অভিভাবক। কেননা দুই বছর শিশুর অভিভাবক হলেন তিন বছর বয়সের শিশু। তার অভিভাবকদের মেরে ফেলা হয়েছে আশ্রয় হয়েছে বাংলাদেশে। তারা অনেক কষ্ট করে গর্ভে সন্তান হাতে সন্তান কোলে সন্তান নিয়ে আসছে আশ্রয় কেন্দ্রে একটু আশ্রয়ের আশায়। আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে গিয়ে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। অগত মহিলাদের মধ্যে অনেকের গর্ভে সন্তান রয়েছে তাছারা ছোট শিশুরা অপুষ্টিগতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছে এজন্য প্রয়োজন তাদের খাবার দেওয়ার পাশপাশি তাদের রোগের প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। কেননা হাদিসের আলোকে দেখা যায়, একজন মুসলমানের আরেক মুসলমানের কাছে ছয়টি হক রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম হক হলো কারো রোগ হলে তাকে দেখতে যাওয়া। হজরত আলী (রা.) বলেন, আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি সকালে কোন মুসলমান রোগিকে দেখতে যায় সত্তর হাজার ফিরিশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত নেক দোয়া করতে থাকে। যে ব্যাক্তি সন্ধ্যায় কোন মুসলমান রোগিকে দেখতে যায় পরদিন সকাল পর্যন্ত নেক দোয়া করতে থাকেন। আর তাকে জান্নাতের একটি বাগান দান করা হয়। (তিরমিযী শরীফ)। রোহিঙ্গা রোগীকে দেখতে যাওয়া আমাদের জন্য একটি উত্তম কাজ। সর্বসময় মনে ধারনা রাখতে হবে আমারও এরকম অবস্থা হয়ে আমি একদিন এরকম অসুস্থ হতে পারি,আমি যদি রোগীকে দেখতে যাই আমি অসুস্থ হলে আমাকেও অন্যরা দেখতে আসবে আর রোগীকে দেখতে গেলে জান্নাতে স্থান করে নেওয়া হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.)হতে বর্নিত রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যাক্তি কোন অসুস্থ ব্যাক্তিকে দেখতে যায় তখন আকাশ থেকে এক ফিরিশতা তাকে লক্ষ্য করে বলতে থাকে মুবারক হও তুমি এবং মুবারক হক তোমার এই পথ চলা এবং তুমি জান্নাতে একটি স্থান করে নিলে। (ইবনে মাজাহ শরীফ)
রোহিঙ্গা রোগীর সেবা করা আমাদের উপর এখন মহান দায়িত্ব ও কর্তব্য হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আমাদের দেশের ডাক্তারের উচিত রোহিঙ্গা রোগীর সেবায় এগিয়ে আসা। তাদেরকে ভালভাবে সেবা করা কেননা কোন রোগী যদি ডাক্তারের ভাল ব্যাবহার পেয়ে দোয়া করে তাহলে তার দোয়া কবুল হয়ে যায়। অন্যথায় কোন রোগী যদি কোন ডাক্তারের ওপর অসুন্তুষ্ট হয়ে ডাক্তারের জন্য বদদোয়া করে সেটি ও আল�াহর দরবারে কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ)
সুতারং আমাদের সকলের উচিত রোহিঙ্গা রোগীর সেবায় যার যতটুকু সামার্থ রয়েছে তা দিয়ে এগিয়ে এসে তাদের তাদের রোগের চিকিৎসা করে সর্বসময় তাদের সেবা করা। সেই সাথে রোহিঙ্গা রোগীর নিকট গিয়ে সেবা করে তাদের থেকে দোয়া নেওয়া উচিত কেননা আল্লাহ তায়ালার দরবারে রোগীর দোয়া ফিরিশতাদের দোয়ার মতো কবুল হয়। হজরত উমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, তুমি কোন রোগীকে দেখতে গেলে তোমার জন্য দোয়া করতে বল। কেননা রোগীর দোয়া ফিরিশতাগনের দোয়ার মত হয়। (উসওয়াতে রাসুলে আকরাম সা.)