পাকিস্তানের ভুয়া ছবির বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নিবে জাতিসংঘ
সংবাদ প্রতিদিন : ভুয়ো ছবি ব্যবহার করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল পাকিস্তান? জালিয়াতি হাতেনাতে ধরা পড়ায় এখন বিপাকে প্রতিবেশী দেশই? ভুয়ো ছবি ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ কী হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সভাপতি মিরোস্লাভ লাজকাক?
আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের মুখোশ কার্যত টেনে উপড়ে নিয়েছে ভারতের মহিলা ব্রিগেড? সেই ত্রয়ী হলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ভারতীয় কূটনীতিবিদ এনাম গম্ভীর ও পৌলমী ত্রিপাঠি? রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানের দু’মুখো নীতির পর্দা ফাঁস করে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রণংদেহী মেজাজে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাস রপ্তানিকারক দেশ’ হিসেবে মন্তব্য করেন। বলেন, ভারত আইআইটি, আইআইএম ইসরো তৈরি করছে। আর পাকিস্তান লস্কর, হিজবুলের মতো জঙ্গি সংগঠন তৈরি করছে। পাকিস্তানকে ‘জঙ্গিস্তান’ বলে উল্লেখ করেন এনাম গম্ভীরও। ভারতের এই বেনজির আক্রমণে পালটা জবাব যে পাকিস্তান দেবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। আর সেটা করতে গিয়েই বড়সড় ভুল করে বসেন রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধি। জাতিসংঘে সাধারণ সভায় ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসের ভূমি বলে উল্লেখ করেন তিনি।ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীর নিরীহ মানুষের উপর দমনপীড়ন ও গো–রক্ষার নামে মুসলমানদের আক্রমণ করার অভিযোগও তোলেন। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যে ছবিটি মালিহা দেখান, সেটি আসলে গাজার ১৭ বছরের কিশোরী রাওয়া আবু জোমার। ২০১৪ সালে গাজার ইজরায়েলের বিমান হানায় আহত হয়েছিল সে।
এরপরই পাকিস্তানের এই মিথ্যাচারের মুখোশ জাতিসংঘে খুলে দেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ পৌলমী ঘটক। যা দেখে সভাপতি মিরোস্লাভ লাজকাক বলেন, ভুয়ো ছবিটি নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ভারতের দেওয়া প্রমাণের কথাও মাথায় রাখা হবে। এদিকে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধির এই কুকীর্তি নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে ইসলামাবাদ।তবে রাষ্ট্রসংঘে মালিহার অপদার্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন পাক নাগরিকদের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা। জাতিসংঘে বক্তব্য রাখার আগে কেন ঠিকমতো প্রস্তুতি নেননি মালিহা লোধি, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ