বিশ্বের বিত্তশালীদের মোট সম্পদ ৬৩ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
ইমরুল শাহেদ : বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেপগেমিনির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে মিলিয়নেয়ারদের সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়ে এক কোটি ৬৫ লাখে পৌঁছেছে। মিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৩ দশমিক ৫ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে; যাকে রেকর্ড বলছে রয়টার্স। বাসস্থান, বিভিন্ন সংগ্রহ ও ভোগ্যপণ্য বাদে নূন্যতম ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে পারেন এমন বিত্তশালীদের সম্পদের পরিমাণ গত বছর ৮ দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে মিলিয়নেয়ারদের সম্পদের পরিমাণ ১০০ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলেও ধারণা করছে কেপগেমিনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল গত বছর মিলিয়নেয়ার হয়েছেন বিশ্বজুড়ে এমন ব্যক্তির সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখের কাছাকাছি। অধিকাংশ মিলিয়নেয়ারের বাস যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি ও চীনে; এদের হাতেই বিশ্বের সব মিলিয়নারের সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৪৪ লাখ ৬০ হাজার থেকে বেড়ে ৪৮ লাখ হয়েছে; চীনে এই সংখ্যা ১১ লাখ ৩০ হাজার হয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১০ লাখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোও সম্পদ বৃদ্ধিতে সমান ভূমিকা রেখেছে।
আগের বছর নিম্নমুখী প্রবণতার মুখোমুখি হওয়া রাশিয়া, ব্রাজিল ও কানাডা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি ঠিক করতে নেওয়া পদক্ষেপের কারণে রাশিয়ায় মিলিয়নেয়ার এবং তাদের সম্পদের পরিমাণ ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে কেপগেমিনির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। মিলিয়নেয়ারদের সংখ্যার বিচারে ফ্রান্সকে হটিয়ে প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য; আবাসন ব্যবসার পুনর্জাগরণ এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ইকুইটি মার্কেটে দুরবস্থার কারণে সিঙ্গাপুরকে প্রথম ২৫ থেকে ছিটকে দিয়েছে সুইডেন।
রয়টার্সের ধারণা, বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উদ্দীপনায় কয়েক বছর পর অর্থনীতিতে প্রবল তারল্যের উপস্থিতিতে স্টক মার্কেটগুলো শক্তিশালী হওয়ায় মিলিয়নেয়ার এবং তাদের সম্পদের পরিমাণ রেকর্ড মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অস্বাভাবিক মাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আসছে বছরগুলোতে দেশটির অগ্রযাত্রা ব্যাহত হতে পারে।