মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা এবং রক্তক্ষরণে অটো ওয়ামবিয়ারের মৃত্যু
জাহিদ আল রাফি : মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন এবং অক্সিজেনের স্বল্পতার কারনে মারা গেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার মেধাবী ছাত্র অটো ওয়ামবিয়ার। উত্তর কোরিয়ায় দীর্ঘ ১৭ মাস কারাগারে আটক থেকে রেহাই পেয়ে ১৯ জুন নিজ দেশে কোমা অবস্থায় আনা হয়েছিলো ওয়ামবিয়ারকে।
স্থানীয় সময় বুধবার একজন মার্কিন চিকিৎসক হেমিলটন কাউন্টি করোনার ড: লাক্সমি সামারকো তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ওয়ামবিয়ারকে ১৯ জুন নিজ দেশে কোমা অবস্থায় আনা হয়। তবে মৃত্যুর প্রায় ১ বছর আগে উত্তর কোয়িয়ার কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় তিনি এক অজ্ঞাত আঘাতে ভুগছিলেন। আমরা জানি না তার সঙ্গে কি ঘটেছে।
ভার্জিনিয়ার শিক্ষার্থী ওয়ামবিয়ার ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ায় আটক হন। এরপর ২০১৭ সালের ১৯ জুন তাকে কোমা অবস্থায় দেশে পাঠানো হয়। এরপর থেকে ওয়ামবিয়ারের চিকিৎসা শুরু করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, ওয়ামবিয়ারের মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে এবং তার ব্রেইনে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়ামবিয়ারের পরিবারের অনুমতিতে তার ময়নাতদন্ত করে চিকিৎসকরা। ওয়ামবিয়ারের পরিবার তার মৃত্যুর জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছেন। তবে উত্তর কোরিয়া সেই দায় নিতে অস্বীকৃতি জানান। উত্তর কোরিয়ার একজন মুখপাত্র জানান, দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবনের ফলে ওয়ামবিয়ার মারা যান।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওয়ামবিয়ারের বাবা ফক্স নিউজে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি সেখানে জানান, আমার ছেলের মৃত্যু উত্তর কোরিয়ার নির্যাতনেরই হয়েছে। দেশে আনার পর তার অবস্থা গুরুতর ছিল। তার মাড়ির দাঁত উপরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজে দেয়া ওয়ামবিয়ারের পরিবারের সাক্ষাৎকারের পক্ষ নেন। তিনি সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জানান, ওয়ামবিয়ারের মৃত্যুর পেছনে উত্তর কোরিয়া দায়ী। রয়টার্স