চলে গেলেন প্লেবয় সাময়িকী প্রতিষ্ঠাতা হিফ হেফনার
রাশিদ রিয়াজ : মাত্র ৬শ ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন হিউ হেফনার। পুরুষদের কাছে যে সাময়িকীটির আবেদন ছিল এক অসাধারণ ব্যাচেলরের জীবনধারা নিয়ে, তার প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনার ৯১ বছরে মারা গেলেন গত বুধবার। ৬০-এর দশকে নতুন ধারার ওই সাময়িকীটির চ্যালেঞ্জ তাকে সারাবিশ্বে নন্দিত ও নিন্দিত উভয় পরিচিতি এনে দেয়। ১৯৫৩ সালে নিজের পকেটের ৬শ ডলার দিয়ে প্লেবয় সাময়িকীটি প্রতিষ্ঠার পর আজ তা মাল্টিমিলিয়ন ডলারের বিনোদন সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। সেই সাম্রাজ্যে ১৯৭০ সালে টিভি শো, জাজ ফেস্টিভাল, প্লেবয় ক্লাবসহ নানা উদ্যোগের প্রায় প্রতিটিতে সফলতা পান হিউ হেফনার। বছরের পর বছর ‘হেফ’ শত শত সুন্দরী মডেলদের নিয়ে কাজ করেন, যাদের অনেকের সঙ্গে তার জৈবিক সম্পর্ক বিশ্ব মিডিয়ায় বিতর্ক ও আলোচনার ঝড় তোলে। তাদের কয়েকজনকে তিনি বিয়েও করেন আবার বিয়ে ভেঙেও যায়। এসব মডেলের কারো কারো বয়স ছিল হেফনারের বয়সের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র। তার সমালোচকরা সরব ছিলেন প্লেবয় ম্যানসনে যৌনতা নির্ভর জীবন-যাপনে, বিশেষ করে যৌন উত্তেজক ভায়াগ্রা সেবনের পর উন্মত্ত যৌনতা ও আচরণের প্রদর্শনের এবং অনেক মানুষ তার কিশোর বয়সে ফ্যান্টাসি জীবন-যাপনকে হিংসাও করে। সিএনএন
১৯৫০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে যা ছিল অকল্পনীয়, সেই যৌনতাকে উপজীব্য করে তিনি মিডিয়ায় এক স্থায়ী আসন গেড়ে বসেন। সিএনএনকে হেফনার একবার বলেছিলেন, সামাজিকভাবে যৌনতামনস্ক হয়ে উঠতে দুনিয়ায় পরিবর্তনের জন্যে কেউ আমাকে স্মরণ করবে ইতিবাচকভাবে এবং এতেই আমি খুশি থাকব। আমি এমন একজন শিশু, যে তার স্বপ্নকে সত্যিতে পরিণত করেছে।
২০১৩ সালে এস্কয়ার সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেফনার বলেন, আমার সঙ্গে শয্যাশায়ী হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা সহস্রাধিক তা নিশ্চিত করে বলছি। কিন্তু বিয়ের পর আমি আর প্রতারণা করিনি।
১৯৮৯ সালে হেফনার প্রথম স্ত্রী মিলিকে ডিভোর্স দেন। বিয়ে করেন তারচেয়ে ৩০ বছরের ছোট ২৬ বছরের কিমবার্লি কনরাডকে। এ ঘরে তার দুটি ছেলে সন্তান আছে। ১৯৯৮ সালে এ সংসারটিও ভেঙে যায়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ