বৃষ্টিতেও আলো ঝলমলে মিরপুরের দুর্গোৎসব
আনোয়ার হোসেন : বৃষ্টিতে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যানজট এবং জলজট পাড়ি দিয়ে মিরপুরবাসীদের ঢাকেশ্বরী বা কলাবাগান ম-পে যাওয়া কঠিন। তাই দুর্গোৎসবের আনন্দ সেরে নিচ্ছেন স্থানীয় ম-পগুলো। তাই বৃষ্টিতেও দারুণ আলো ঝলমলে পূজাম-প।
মিরপুরের কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ মোট ৪টি পূজা ম-পে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। অষ্টমীর বিকেলে ঝুম বৃষ্টি শুরু হওয়া স্বত্ত্বেও সবগুলো ম-পে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বিরূপ আবহাওয়াকে তোয়াক্কা না করে নারী, পুরুষ নির্বিশেষে ভক্তি নিবেদনের উদ্দেশ্যে উপস্থিত হচ্ছিলেন ম-পগুলোতে।
শারদীয় দূর্গাপূজার মধ্যে ‘অষ্টমী’র গুরুত্ব অন্যতম। এই অষ্টমীতেই অসুরের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হন মা দূর্গা। এ দিনে মা দূর্গার প্রতিটি নামের সম্মানে জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ এবং নিবেদন করা হয় ১০৮টি পদ্ম। এ ছাড়াও অন্যান্য রীতিনীতি পালনের পাশাপাশি অষ্টমীর ঠিক মধ্যরাতে শুরু হয় সন্ধি পূজা।
শাস্ত্রমতে, অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট মিলে ৪৮ মিনিট ব্যাপী এই পূজার সময় মন্দকে দমন করতে মা দুর্গার অন্তর থেকে বিদায় নেয় সব মায়া-মমতা। এ সময়টি ‘সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে পরিচিত। সন্ধিক্ষণ চলাকালীন মা দুর্গার সামনে সরাসরি দাঁড়ানো নিষেধ।
নবমীর সকালেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মধ্যেই সবাই দুর্গা দর্শন ও পুজো দেওয়ায় ব্যস্ত। বৃষ্টির কারণে আলো কম থাকায় বাইরের আলোকসজ্জা জ্বলছিল। ভেতরে আরতি, ধূপ-ধুনোর গন্ধ, ঢাকের শব্দ আর নিবেদন।
সবার মুখেই হাসি, তবুও বিষাদ লুকিয়ে আছে। কারণ শিগ্রই বিদায় দিতে হবে মা’কে। আবার দেখা হবে আগামী বছর।