চাঞ্চল্যকর কালশী হত্যাকান্ড সাড়ে ৩ বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে বিহারি ক্যাম্পের সংঘর্ষে ১০ জন প্রাণ হারালেও নেপথ্যের কারণ এখনো রয়ে গেছে ‘অজানা’। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিহারিদের পক্ষ থেকে ৬টি মামলা করা হলেও তদন্তের অগ্রগতি নেই একটিরও। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৪ জুন শবেবরাতে আতশবাজি পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত, বিহারি ক্যাম্পবাসী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওইদিন দৃর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মারা যান বিহারি ক্যাম্পের একই পরিবারের ৭ জনসহ মোট ৯ জন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে মারা যান আজাদ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। তবে ঘটনার প্রায় সাড়ে ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনার পেছনের নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো বের করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সংস্থা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংঘর্ষের ভিডিও প্রকাশিত হলেও শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার হয়নি কেউই।
তদন্তে ধীরগতির বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের সময় শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এতো লোকের ভেতরে কারা আগুন দিয়েছিল তাদের শনাক্ত করতে সময় লাগছে, তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় পুলিশ বাদি হয়ে ২টি ও কালশীর বিহারিরা ৪টি মামলা দায়ের করে। পুলিশের মামলায় মসজিদে ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধাদান, আহত করা, হত্যার চেষ্টার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক বিহারিকে আসামি করা হয়েছিল। তবে আগুনে পোড়ানো এবং সংঘর্ষের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন নিহত আজাদের ভগ্নিপতি মো. সুমন। তিনি বলেন, বিহারি ক্যাম্প থেকে কাছের বস্তিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া ও তাদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনায় মিরপুর-১১ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছিল। এতে এলাকার কয়েকজন যুবলীগ নেতা-কর্মীও জড়িত ছিলেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৯ জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্ত রিপোর্টটি এখনো প্রস্তুত হয়নি। কাউকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করা যায়নি এখনো। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ