মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে রিকশা মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা
রফিক আহমেদ : বাংলাদেশ রিকশা-ভ্যান মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে রিকশা মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নামের একটি সংগঠন মানববন্ধন করে এ অভিযোগ করেছে। সংগঠনের নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী হিসেবে বাসস্থান, ভাতা ও চিকিৎসা-সহ সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে কতিপয় ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নামে রিকশা মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এ সব সংগঠন রিকশা-ভ্যান মালিকদের সার্টিফিকেট দেয়ার ভুয়া আশ্বাস দিয়ে রিকশা চলাচলের জন্য প্লেট-টোকেন সরবরাহ করছে। এতে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সংগঠনের নেতারা বলেন, ইতোমধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা নামধারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করা হলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে মানববন্ধন থেকে দাবি করেন। নেতারা বলেন, কতিপয় ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে রিকশা চালক ও মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
নেতারা আরও বলেন, প্রতারণায় লিপ্ত থাকা সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে- মুক্তিযোদ্ধা পরিবহন কল্যাণ সমিতি (জামুকা রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৩৪), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা রিকশা-ভ্যান উন্নয়ন সোসাইটি (জামুকা রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৭৬৩৭ (৮২৭)), মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পুনর্বাসন সোসাইটি (জামুকা রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৬৩৬৩) সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ এবং ঢাকা সিটি মুক্তিযোদ্ধা রিকশা-ভ্যান মালিক কল্যাণ সোসাইটি।
এছাড়াও একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী ব্যক্তিরা হাইকোর্টের রায় অমান্য করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা, বাড্ডা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মোহাম্মদপুর, আদাবর, ধানমন্ডি, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, সূত্রাপুর, কোতোয়ালী, মিরপুর, পল্লবী ও দারুসসালাম থানা এলাকায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ অপচায়কারী অনুমোদনবিহীন ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে চলাফেরা করছে।