পাকিস্তানে উঁচু পর্যায়ের বৈঠক: আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাবের অঙ্গীকার
পার্সটুডে : পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ‘অজেয়’ রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান, তিন বাহিনীর প্রধানরা এবং বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বাইরের শত্রুর যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের মুখে পাক সামরিক বাহিনীকে অজেয় রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছে গতকালের বৈঠকে। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, আফগান সীমান্তের রাজগাল উপত্যকায় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আরসালান সাত্তি নিহত হওয়ার পর এ বৈঠক হলো। এছাড়া, ভারত সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় বাহিনীর দফায় দফায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাও বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। এর পাশাপাশি পাক প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি আমেরিকার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যেসব বৈঠক করেছেন তা নিয়েও কথা হয়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২১ আগস্ট আফগান নীতি ঘোষণার সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন গতকালের বৈঠকে তা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ট্রাম্পের বক্তব্যকে সামনে রেখেই মূলত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক হলো। তবে বৈঠক শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু বলা হয় নি।
আফগান নীতি ঘোষণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে এবং পাকিস্তনের ভূখ- সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের জন্য ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করেন। সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এসব বক্তব্য ও অভিযোগকে ভালোভাবে নেয় নি পাকিস্তান। পাশাপাশি মার্কিন হুমকি মোকাবেলার কথাও ভাবছে ইসলামাবাদ।
এজন্য দেশটি দ্রুত রাশিয়ার সমর্থন চেয়েছে এবং আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশগুলোর সমর্থন লাভের জন্য পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মুহাম্মাদ আসিফ চীন, ইরান ও তুরস্ক সফর করেছেন। এরইমধ্যে রাশিয়াসহ এসব দেশ পাকিস্তানের প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ