মিথ্যেবাদীকে চিহ্নিত করার সূত্র জানালেন হার্ভার্ড গবেষক
অনন্যা খান : আমরা এতদিন মনে করতাম, একজন ব্যক্তি কথা বলার সময় স্নায়বিক অস্থিরতায় ভোগা এবং চোখের দিকে তাকাতে না পারা হচ্ছে মিথ্যার বলার লক্ষণ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল অধ্যাপক এ্যামি ক্যাডির মতে, এর কোন লিখিত সূত্র নেই। এ্যামির নতুন বই ‘প্রেজেন্স’-এ তিনি উল্লেখ করেছেন যে, একজন মনোবিজ্ঞানীর মতে, ব্যাক্তির গোপনীয়তা প্রকাশ খোঁজার পরিবর্তে ব্যক্তির কথোপোকথনের একাধিক মাধ্যম যেমন মুখের অভিব্যক্তি, অঙ্গবিন্যাস এবং বক্তব্য হচ্ছে প্রতারণা চিহ্নিত করার শ্রেষ্ঠ উপায়।
কাডি দাবি করেছেন, মিথ্যা বলা কঠিন কাজ। আমরা যখন কাউকে দমনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা গল্প বলি এবং যদি গল্পটি যথেষ্ট জটিল না হয় তবে অনেকেই এই বিষয়ে মানসিকভাবে অপরাধবোধ অনুভব করি, যা আমরা রোধ করার চেষ্ঠা করি। আমাদের মস্তিকে এত ক্ষমতা নেই যে সামান্য সত্যি ফাঁস করা ছাড়া সম্পূর্ণ মিথ্যা গল্প বলতে পারবো। এসব তথ্য ফাঁস ধরতে পারার উত্তম উপায় হচ্ছে ব্যাক্তির কাজ এবং কথার মধ্যে পার্থক্য বের করা। বিপরীত আবেগ যেমন মুখের অভিব্যাক্তি, কন্ঠস¦র হচ্ছে এর উদাহারণ। দুর্ভাগ্যবশত অধিকাংশ মানুষ মিথ্যাবাদী চিহ্নিত করতে অক্ষম।
কাডি আরও বলেছেন, সাধারনত সামান্য অনুমানের দ্বারা মানুষ সফলভাবে মিথ্যা সনাক্ত করে থাকে। সমস্যাটি হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ ব্যাক্তির কর্ম বা আচরণের চেয়ে তার কথাতেই মনোযোগকে কেন্দ্রিভূত করে। টাইম