মা-ইলিশ রক্ষায় ধরা বন্ধ সরকার ৭ হাজার বর্গকি.মি. এলাকা জুড়ে অভিযান চালাবে
তরিকুল ইসলাম সুমন : মা-ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাসহ ২৭ জেলায় আজ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারের ষোঘণা অনুযায়ী এসময়ে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত এবং বিনিময়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতবছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মা মাছ সংরক্ষণের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সরকার এ অভিযান সফল করার জন্য ঢাকাস্থ মৎস্য অধিদপ্তরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা ৪টি বিভাগে ৩০ কর্মকর্তার নেতৃত্বে মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কমিটিও।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রমজান আলী জানান, ইলিশের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত এলাকার সীমানা হচ্ছে মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দী পয়েন্ট, তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর তজুমদ্দিন থেকে পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া পয়েন্ট; কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট ও কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গ-ারমারা পয়েন্ট। এসব অঞ্চলের ২৭টি জেলার সমুদ্র উপকূল ও মোহনায় এই ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এ ২২ দিন যাতে জেলেরা মাছ না ধরে এজন্য সরকার ভিজিএফের মাধ্যমে চালসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করবে। ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধের এসময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের এই আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদ- বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দ- দেওয়া হবে।
তাছাড়া ১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। জেলা ও উপজেলা মৎস্য দফতর, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ, এপিবিএনসহ অসংখ্য টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। কোথাও কেউ আইন ভঙ্গ করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই অভিযান রাতেও পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধেও নৌপুলিশের টহল জোরদার থাকবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ