মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি
মাঈন উদ্দিন আরিফ : কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রয়োজনে মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোহিঙ্গা সমাস্যার জরুরি সমাধান এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ঐক্য মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের জন্য মিয়ানমানের সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে। মিয়ানমার কখনো মাথা নিচু করবে না। কূটনৈতিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু মিয়ানমারের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের সাতটি দেশের মধে চীন ও রাশিয়ার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত সরকার চীন ও রাশিয়াকে কনভিন্স করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আমরা অন্য কোনো দেশ নিয়ে মাথা গলাতে চাই না। আমরা এটাও চাই না আমাদের অভ্যন্তরে অন্য কেউ নাক গলাবে না। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত এসেছে। অথচ সরকার নিন্দাও জানায়নি। এটাকে আগ্রাসন মনে করতে হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিবের বরাত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন অনেক দেরী হয়ে যাচ্ছে। এরপর কোনোদিকে কোনো মোড় নিবে আমরা সহজে বলতে পারি না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সাম্প্রতিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এছাড়াও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা জামাল হায়দার, মেজর জেনারেল ইবরাহীম বীর প্রতিক, জেবেল রহমান গানি, জাহানারা পারভীন, মাওলান আবদুর রব, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আহম্মদ আবদুল কাদের প্রমূখ। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু