শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাবার মতো প্রাণ দিলেন সৈনিক মনোয়ার
বরিশাল প্রতিনিধি : জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে অফ্রিকার মালিতে সন্ত্রাসীদের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত সেনা সদস্য মনোয়ার হোসেনের মৃতদেহ রোববার রাত আটটায় বরিশালের গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে মনোয়ারের মরদেহ ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে চন্দ্রমোহন অলিশিয়া জৈনপুরি খানকা মাঠে নিয়ে আসেন সেনা সদস্যরা। গাড়ি থেকে ৬২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনা সদস্যরা তার মরদেহ বহন করে জানাজাস্থলে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে গার্ড অব অনার প্রদান এবং মনোয়ারের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। এরপর সেনা সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মনোয়ারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে সেনা সদস্যরা কফিন কাঁধে বহন করে শহীদের বাড়িতে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের অনুমতির পর তার (মনোয়ার) মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়। এরপর তাকে মরণোত্তর সালাম প্রদান করেন সেনা সদস্যরা। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৬২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ, ৩২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর মনির হোসেন, শান্তি রক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট ব্যানব্যাট-৪ এর মেজর কায়সার সহ সেনা সদস্যরা।সূত্রমতে, দেশের শান্তিরক্ষায় কাজ করতে গিয়ে ২০০৩ সালে রাজধানীর আগারগাঁও পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণদিয়েছিলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
এবার বিশ্ব শান্তি রক্ষায় কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন তার সৈনিক পুত্র মনোয়ার হোসেন। দুজনই শান্তির পথের যোদ্ধা হয়ে শহীদ হলেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান