গ্রিনরুম পলিটিক্সে আমরা এগিয়েছি অনেক দূর
সুভাষ সিংহ রায়
আমাদের দ্বি-পাক্ষিক এবং বহু-পাক্ষিক যে কূটনৈতিক আলোচনা তা চালিয়ে যেতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার যে আশ্বাস মিয়ানমার দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই। সেই সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। মিয়ানমার সরকার যে শেষ পর্যন্ত আলোচনায় বসেছে এবং এটাকে যে স্বীকার করে নিয়েছেÑ এটাই অগ্রগতির একেবারে শুরু। ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’- এটা আসলে কফি আনান কমিশনের রিপোর্টেরই একটা সুপারিশ ছিল, এটা ছিল জয়েন্ট ভেরিফিকেশন। আনান কমিশনের রিপোর্টে জয়েন্ট ভেরিফিকেশন নামেই এটা ছিল। আলোচনায় এটা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সারা পৃথিবী বলছে, বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে আছে, আর মিয়ানমার গণহত্যা করছে। এটাই তো সৃজনশীল কূটনীতির প্রথম সূচনা। কূটনৈতিক বিষয়ে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সফল, তিনি তা প্রমাণ করেছেন। কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট যখন তৈরি হয়, একটা অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট দিয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে, এই রিপোর্ট ১৬ থেকে ১৭ পৃষ্ঠা ছিল, পরবর্তীতে ৫৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ যে রিপোর্ট হলো, এর মাঝখানের সময়টাতে আনান কমিশনের সদস্যরা বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তখন আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুবই দক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো তাদের বোঝাতে পেরেছিলেন এবং যে কারণে কফি আনান কমিশনের সুপারিশটা এত বিস্তৃত আকারে হয়েছে। কূটনৈতিক কাজগুলো কিন্তু সব চোখে দেখা যায় না। এটাকে বলে গ্রীনরুম পলিটিক্স। গ্রীনরুম পলিটিক্সে আমরা এগিয়েছি অনেক দূর, কিন্তু কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে এবং আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।
পরিচিতি: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ