নো ম্যান্স ল্যান্ডে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন ৭ হাজার রোহিঙ্গা
মাহফুজ উদ্দিন খান : নাইক্ষ্যংছড়ির নো ম্যান্স ল্যান্ডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন প্রায় ৭ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের সহ্য করতে হচ্ছে মিয়ানমার ফৌজির চোখ রাঙানোকে। তাই নিরাপদ আবাসনের জন্য বাংলাদেশের কাছে তাদের আকুল আবেদন।
ছোট একটি নালার ওপারে নো ম্যান্স ল্যান্ড, যেখানে বসবাস ১৩শ রোহিঙ্গার পরিবারের। দুইশ গজের ওপারে সেনা টহল চলে হরহামেশাই। ঠিক কাঁটাতারের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ৭ হাজার রোহিঙ্গার বসতি। বন্দুকের নলের মুখেই চলে রান্না আর খাওয়া দাওয়া। দু:সাহসীদের কেউ কেউ ফৌজিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসা যাওয়া করে বটে কিন্তু বেশির ভাগ রোহিঙ্গা থাকেন প্রাণ হারাবার ভয়ে। ওপারের মত শান্তি নেই এপারেও।
নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাস করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছে, বাংলাদেশের সীমানার এপারে সব সময় বার্মার সেনাবাহিনী থাকে। ওদিকে গেলেই বন্দুক উচিয়ে ভয় দেখায়। আর রাতে বেশি ভয় লাগে, কখন জানি তারা এপারে এসে হামলা করে।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ভয়ে থাকতে চান না রোহিঙ্গারা।
ভৌগলিক পরিচয়ে আর সীমান্তের সমীকরনে এপারে বাংলাদেশ আর কাঁটাতারের ওপারে মিয়ানমার। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গিয়ে কেউ মাছ ধরেন আবার কেউ কেউ রান্নার লাকড়ি নিয়ে আসেন।
তবে এই নো ম্যান্স ল্যান্ডে অনেক ঝুঁকি নিয়ে তারা বসবাস করছেন। তারা চান একটি নিরাপদ আশ্রয়। ফিরে যেতে চান তাদের নিজ জন্মভূমিতে। তবে মিয়ানমারে বৈরী আচরনে তাদের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সূত্র : নিউজ টুয়েন্টিফোর