‘ভারতের স্বার্থে স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রয়োজন’
হাসান আরিফ : ভরতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, নিজেদের স্বার্থে ভারতের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আমরা আমাদের পারস্পরিক সংযোগ গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে যা সাম্প্রতিককালে সেটা ক্রমবর্ধমান বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা) ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
অরুণ জেটলি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি দেখে তিনি মুগ্ধ।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এখন অত্যন্ত ভালো। একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় তারা বাংলাদেশের পাশে ছিল। আগামীতেও তারা আমাদের পাশে থাকবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ ঋণ বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সুসম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।
ভারতের অর্থ মন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে বাংলাদেশ ভালো প্রবৃদ্ধি পেয়েছ। আর্থসামাজিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে আগেও পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। তারই ধারাবাহিকতায় এই বড় অংকের ঋণচুক্তি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ভারত থেকে নেওয়া ক্রেডিট লাইনের প্রথম পর্যায়ের এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাস্তবায়ন পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবার তৃতীয় ধাপের ঋণ যথাযথভাবে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত এ ঋণের অর্থ ব্যয় হবে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে ভারতের অর্থমন্ত্রী মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন। তিনি জনিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অন্য দেশের জন্য মডেল হতে পারে।