যাদের জন্য জান্নাতের অঙ্গীকার করেছেন প্রিয়নবী সা.
গাজী জোনায়েদ আহমদ
পৃথিবী আখিরাতের শষ্যক্ষেত্র। যে যেমন পরিচর্যার মাধ্যমে তার শষ্য বাড়াবে তার জন্য রয়েছে তেমন ফলন। প্রিয়নবী সা: নিজ উম্মতের জন্য বলে দিয়েছেন জান্নাতে যাওয়ার পথ। আখেরাতের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতায় মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে এবং সত্য, সুন্দর ও উত্তম নসিহত প্রদানে পবিত্র কুরআনের অমীয় বাণী নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি তাঁর উম্মতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,‘আমাকে ৬টি আমলের অঙ্গীকার দাও; আমি তোমাদেরকে জান্নাতের অঙ্গীকার দিব।
১. সদা সত্য কথা বলা; কারণ সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। ২. প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা। ৩. আমানতের খিয়ানাত না করা। মনে রাখতে হবে, সত্য পরিহার করে মিথ্যাগ্রহণকারী, অঙ্গীকার ভঙ্গকারী এবং আমানতের খিয়ানতকারী মুনাফিক। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘মুনাফিকের স্থান হবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। ৪. ইজ্জতের (লজ্জাস্থানের) হেফাজত করা। উত্তম চরিত্রবান হিসেবে নিজেকে গড়তে ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের বিকল্প নেই। ৫. দৃষ্টি অবনত রাখা। মানুষ চোখের দ্বারা বেশি গোনাহে আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম কুরআনের সতর্ক বার্তায় তিনি তাঁর উম্মতকে চোখের হেফাজতের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। ৬. জুলুম থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা জুলুমকে তাঁর নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছেন। তাছাড়া আল্লাহ তাআলার সঙ্গে শিরক করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম। সুতরাং সব ধরনের জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্ত থাকা জরুরি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে উপর্যুক্ত ৬টি অঙ্গীকার যথাযথভাবে পালন করার শক্তি ও সামর্থ্য দান করুন। মহানবী সা. ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবয়ন করে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।