সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
অর্থনৈতিক ডেস্ক : ডিজিটাল হুন্ডি ঠেকাতে কঠোর তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট অবৈধ উপায়ে প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি স্থগিত হওয়া বিকাশের দুই হাজার ৮৮৭ এজেন্ট অন্য কোনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট হয়ে সন্দেহজনক লেনদেন করছে কিনা সে বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ইত্তেফাক
জানা গেছে, প্রবাস থেকে অবৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্স সুবিধাভোগির কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়ে গত মাসে বিকাশের দুই হাজার ৮৮৭ এজেন্টের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। স্থগিত এসব এজেন্ট নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে রাত ২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে বিপুল অংকের অর্থ লেনদেন করেছে। এসময়ে যেসব লেনদেন হয়েছে তার সবই ছিল ক্যাশ ইন তথা অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। আর প্রতিটি লেনদেন এত কম সময়ে হয়েছে যা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ধারণা করছে বিশেষ কোনো অ্যাপস ব্যবহার করে দেশের বাইরে থেকে পাঠানো অর্থ এ উপায়ে সুবিধাভোগির কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকাশের পাশাপাশি অন্য সব এজেন্টের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনাকারী সব প্রতিষ্ঠানের সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিকাশের যেসব এজেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে তারা অন্য কোনো মোবাইল ব্যাংকিয়ের এজেন্ট হয়ে সন্দেহজনক লেনদেন করছে কিনা তা দেখতে বলা হয়েছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি থাকেন এরকম বিভিন্ন দেশে বিকাশসহ জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টানিয়ে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। হুন্ডি পথে ওই অর্থ পাঠানো হচ্ছে দেশে। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা সুবিধাভোগির কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে সাম্প্রতিক সময়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স ব্যাপক হারে কমছে। নানা তৎপরতার ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স বাড়লেও তৃতীয় মাসে ব্যাপকভাবে কমেছে। গত সেপ্টেম্বরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে গত ৭ বছরের মধ্যে তা সর্বনিম্ন। এর আগে গত অর্থবছর রেমিট্যান্স কমেছিল ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। সম্পাদনা : মোনা হক