একজন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ
রবিউল আলম
সততা, কর্মনিষ্ঠা, মানুষের ভালোবাসা, দেশপ্রেম থাকার পুরস্কার একদিন মানুষের কাছ থেকে পাবেনই। দলের নেতাদের চরিত্র কিছুটা ব্যতিক্রম ও পরিবর্তন হয় অর্থ ও ক্ষমতার লোভে। রাস্তার টোকাইও অনেক সময় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধি হয়ে যেতে পারে। কিছু টোকাই মানুষের ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে দলকে গুছিয়ে নেয়। আবার কেউ কেউ এমপি বা কাউন্সিলর হয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন করেন। অন্য দলের লেজুরবৃত্তি করে নিজ দলের নেতাকর্মীদের দুরে রাখার চেষ্টা করেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নিজেদের লোক সৃষ্টি করেন। মাননীয় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে ‘অন্য’ বাহিনী গড়ে তুলেন। দলের চেয়ে তার ক্ষমতা অনেক বেশি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। মাটির সাথে সম্পর্ক নেই, এলাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই, শুধু দলীয় পরিচয় ও মার্কা নিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, সেটাও মনে নেই, মনে রাখার প্রয়োজনও নেই।
বিগত নির্বাচনেও এলাকার প্রার্থী কে তা লক্ষ্য করিনি, মার্কা নিয়ে মাঠে ছিলাম। ভোটাররাও শেখ হাসিনার উপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে নৌকায় ভোট দিয়েছিল। এবার লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দলের চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বহির্বিশ্বে অনেক বেশি। যদি জনগণ ভোট দেয় তবে শেখ হাসিনার জন্যই নৌকায় ভোট দিবে, আমি আর আপনি কিছুই না। একথা সব নেতাই জানেন, কিন্তু মানতে চান না। নিজের ক্ষমতা দেখাতেই ব্যস্ত থাকেন, দলের চেয়ে নিজের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত, দলীয় লোকদের দূরে রাখতে ব্যস্ত। শেখ হাসিনা জনপ্রতিনিধিদেরকে বলেছিলেন, আমার পাশে ঘুর ঘুর না করে জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণের পাশে থাকলে আজ বলতে হতো না, ঢাকায় অর্ধেকের বেশি প্রার্থী পরিবর্তন হবে। জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের পাশে থাকবেন না, জনগণ জানতে পারবে না এমপি ও কাউন্সিলর কোথায় থাকে, প্রার্থী পরিবর্তন না করে কি শেখ হাসিনার আর কোনো পথ খোলা আছে। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রণালয় সবকিছুর দায়িত্বে থাকবে এক ব্যক্তি সেটা শেখ হাসিনা আর দেখতে চান না, যদি না জনগণকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে না পারেন।
শেখ হাসিনার সততা, কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা, জনগণের প্রতি ভালোবাসা, জাতির জন্য দেশপ্রেম, রোহিঙ্গাদের বুকে ধারণের মানবিক দৃষ্টান্ত দেখেও যদি শিখতে না পারেন, তবে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হওয়ার কোনো যোগ্যতাই আপনাদের নেই। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন, আমরা তার সততার পুরস্কার দিতে চাই। শেখ হাসিনার নির্দেশ ছাড়া আওয়ামী লীগের কর্মীরা একচুলও নড়বে না। শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশের মানুষ আর কিছু বোঝে না, বুঝবেও না।
লেখক: ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ