পরিকল্পিত জ্বালানিমূল্য চায় ব্যবসায়ীরা
আরিফুর রহামান তুহিন: প্রায় প্রতি বছর দেশে জ্বালানীর মূল্য পূণ-নির্ধারণ করা হয়। ফলে ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটে শিল্প মালিকদের। তাই জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধিতে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো চায় তারা। তবে এখনই কোনও কাঠামোতে যেতে রাজি নয় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, আগে বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাবলম্বি হতে হবে। তারপরই একটি রোডম্যাপ তৈরিতে যাওয়া যাবে। এজন্য আরও তিন-চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের মতে, বর্তমানে দেশে তীব্র জ্বালানী সংকট চলছে। বিশেষকরে শিল্প প্রতিষ্ঠানে নতুন গ্যাস সংযোগ নেই। যেগুলোতে আছে সেগুলোতে ঠিকমত চাপ পাওয়া যায় না। আবার গড়ে প্রতিদিন তিন-চার ঘণ্টা বিদ্যুত থাকেনা। তখন জেনারেটরে মাধ্যমে চলতে হয়। গ্যাস না থাকায় শিল্পের বিশাল একটি অংশ জ্বালানী তৈল দিয়ে চালাতে হয়। এর মধ্যে প্রায় প্রতি বছর জ্বালানীর দাম বাড়ছে। এটা তাদের জন্য বাড়তি চাপ বলে মনে হচ্ছে। একাধিক ব্যবসায়ীর অভিমত, জ্বালানীতে যদি এমন একটা রোডম্যাপ করা সম্ভব হয় যে, আগামী ৫ বছর বিদ্যুতের দাম একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে রেখে ৫ বছর পর এটা নির্দিষ্ট সংখ্যক হারে বৃদ্ধি পাবে। এবং পরবর্তি ৫ বছর ওই দাম বলবৎ থাকলে তারা একটা সঠিক হিসেবে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর দাম বৃদ্ধি হলে হিসেবে গড়মিল দেখা দেয়। এটা এখন জন্য সময়ের দাবি বলেও মনে করেন তারা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জ্বালানী বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম বলেন, বর্তমানে দেশে যেভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে সেটা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি চিন্তার বিষয়। আমাদেরকে একটি পরিকল্পনায় যেতেই হবে। এছাড়া আমাদের পেট্রলিয়াম ভিত্তিক জ্বালানী থকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারকে আরও একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি ক্যাপটিভ রাখবে নাকি শুধুমাত্র গ্রীড থেকে সংযোগ দিবে। যদি ক্যাপটিভ বাদ দেয় তবে গ্রীডের দাম আরও সহনীয় করার পক্ষে তিনি। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এই মুহুর্তে কাঠামোগত জ্বালানীর মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব না। সরকার এই খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দিচ্ছে। সরকারকে আগে স্থীতিশীল জ্বালানীর সক্ষমতায় যেতে হবে। যদিও দেশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে সাথে সাথে বিতরণও বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য অতি শীঘ্রই গ্যাস সংযোগ বিতরণ করা হবে। তবে শর্ত হলো তাদেরকে অবশ্যই অর্থনৈতিক অঞ্চলে মধ্যে ব্যবসা করতে হবে। এছাড়া আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যেই লোডশডিং কমে যাবে বলে জানান তিনি।