শান্তির নোবেল ঘোষণা করা হয় অসলো থেকে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য ও অর্থনীতি এই ৫ টি বিষয়ের নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা হয় সুইডেনের স্টকহোম থেকে। শুধু শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয় নরওয়ের অসলো থেকে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের প্রক্রিয়াও একটু ভিন্ন হয়।
নোবেলপ্রাইজ.ওআরজি ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় আগের বছরের সেপ্টেমম্বর মাসে। মনোনয়ন দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত ব্যক্তিদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠায় নোবেল কমিটি। আমন্ত্রণপত্রে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন আহ্বান করা হয়। এই যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমপি, মন্ত্রী), বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, ইন্টারন্যাশনাল কোর্টস অব ল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, আইন ও ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক, শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউটের নেতা, পররাষ্ট্রবিষয়ক ইন্সটিটিউ, শান্তিতে নোবেল জয়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের সাবেক উপদেষ্টারা।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জয়ী বাছাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। আর এ কমিটিকে নিয়োগ দেয় নরওয়ের পার্লামেন্ট স্টর্টিং।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পর পরের বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ থাকে। কেউ নিজেকে মনোনয়ন দিতে পারেন না। অন্য কেউ এই মনোনয়ন জমা দিয়ে থাকেন। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তাদের মধ্য থেকেই মনোনীত করা হয়। আর সময় পার হয়ে যাওয়ার পর যারা মনোনয়নপত্র দিয়ে থাকেন ,তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয় না। পরের বছরের জন্য তাদেরকে বিবেচনা করা হয়।
ওয়েব সাইটটিতে এ বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, নোবেল কমিটি প্রার্থীদের কাজের মূল্যায়ন করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে। তারপর আবার মার্চ থেকে আগস্টে সংক্ষিপ্ত তালিকার বিষয়ে কমিটির উপদেষ্টাদের মত নেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত তালিকাটি কমিটির স্থায়ী উপদেষ্টারা পুনরায় মূল্যায়ন করেন।
অক্টোবরের শুরুতে নোবেলজয়ী বাছাই করা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম চূড়ান্ত করে নোবেল কমিটি। এ সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং আপিলের সুযোগ থাকে না।নোবেল ফাউন্ডেশনের বিধি অনুযায়ী, নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়ার তথ্য ৫০ বছরের আগে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কে কাকে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং কে বিরোধীতা করেছেন সেটি ৫০ বছর আগে জানা সম্ভব হয় না। অক্টোবরে নাম ঘোষণা করা হলেও বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ১০ ডিসেম্বর। নরওয়ের অসলো থেকে নোবেলজয়ী তার পুরস্কার গ্রহণ করেন।