রোহিঙ্গা সংকট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করা উচিত
আমি মনে করি, বাই ন্যাচারালি মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের কাজটি দ্বি-পাক্ষিকভাবে আলোচনা করে করা উচিত। তবে বহুপক্ষীয় হলে আরও ভাল হয়। এখানে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করার দরকার ছিল। জাতিসংঘকে যুক্ত করলে আন্তর্জাতিক চাপটা বজায় থাকত। এতে দ্বিপাক্ষিক একটা ব্যাপার হতো, তাতে আন্তর্জাতিক চাপটাও থাকত। মিয়ানমারের সাথে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ করার ব্যাপারে একটা চুক্তি হয়েছে বলেই আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বন্ধ রাখা যাবে না। কূটনৈতিক তৎপরতা চলতে থাকবে এবং আন্তর্জাতিক চাপটা তাদের উপর বহাল রাখতে হবে। তা না হলে চুক্তিপত্রের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না। মিয়ানমারের ভেতরকার অবস্থা ঠিক না করলে, এই অববস্থায় কেউ যেতে চাইবে? মিয়ানমারের ভেতরকার নিয়ম-কানুন ঠিক করতে হবে। তাদের নাগরিকত্বের ব্যবস্থা করতে হবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, খাবারসহ আরও অনেক ব্যাপার অছে, যা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কিছু ফাঁক-ফোকর রয়েছে। ১৯৯২ সালের ঘটনাটিতে কিন্তু সবাইকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্যে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ এবং অনেক বড় হুমকি স্বরূপ। তাই রোহিঙ্গা সংকট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করা উচিত। আর তাই ইউএন কে যুক্ত করা উচিত, মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপটা বজায় রাখার জন্য।
পরিচিতি: সিনিয়র সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান