প্রধান বিচারপতির নিরবতা শ্বাসরুদ্ধকর : দুদু
মাঈন উদ্দিন আরিফ : এক মাসের ছুটির বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নিরবতাকে শ্বাসরুদ্ধকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদ। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি তো দিব্যি মন্দিরে গিয়ে পূজা দিচ্ছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করছেন। তাহলে কি প্রশ্ন থেকে যায় না- তিনি আদৌ ছুটির আবেদন করেছেন কিনা! আর ছুটি সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি এত নিরব কেন? নিশ্চয় তাকে নিরব থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি আয়োজিত বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও আজকের প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, আমরা দেখেছি, সরকারের রোষানলে পড়ে বিগত দিনে যারা গুম হয়ে আবার জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন, পরবর্তীতে তাদের কেউ কোনও কথা বলেননি। এমন কি ফিরে আসার পর এক কলম লিখেনওনি। ধারাবাহিক এই গুমের সর্বশেষ শিকার কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজাহার। তবে কি অপেন সিক্রেট অ্যান্ড ইনডাইরেক্টলি প্রধান বিচারপতিও গুম হয়ে গেছেন? অতীতের ধারাবাহিকতা আমাদের এমনটি ভাবতে বাধ্য করছে। যদিও এখন কথা বলাও খুব বিপদ। খুবই কঠিন একটা সময় আমরা অতিক্রম করছি।
দেশের মধ্যে বর্তমানে যা হচ্ছে, এগুলো কোনেও স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যাশা করা যায় না- এমন দাবি করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এতদিন জানতাম ছাত্রদলের নেতাদেরকে বিনা ওয়ারেন্টে, বিনা মামলায় ধরে নিয়ে গিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়। গুম করে ফেলা হয় যুবনেতা, শ্রমিক নেতা, কৃষক নেতাসহ ২০ দলের নেতা এবং ব্যাংকারদেরও। এগুলো আমাদের আতঙ্কিত করেছিল। বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষ থেকে আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তুএর প্রেক্ষাপটে সরকার যথাযথ বক্তব্য দেয়নি।
তিনি বলেন, সবশেষ যে প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে সেটি হচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে। হঠাৎ করেই আমরা জানতে পারি তিনি ছুটি নিয়েছেন। তাকে ছুটি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কখনও আইনমন্ত্রী বলেছেন তিনি নিজে নিজেই ছুটি নিয়েছেন, আবার কখনও দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটনি জেনারেল বলছেন প্রধান বিচারপতি কেন ছুটি নিয়েছেন এটা তিনি জানেন না। বারের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকেও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ