সমাধানের কথা বলে লাভ কী?
বাস মালিক শ্রেণির যে দাবি থেকে বোঝা যায় যে, হিসাবটা পরিষ্কার। কত ঘন্টা যানযটে চলে যায় এবং কি পরিমাণ যাত্রী আছে এটা জানা যায় সহজেই। সরকার মনে করছে যে, বাস মালিকদের খুশি রাখাটা সুবিধাজনক। সে কারণেই সরকার এদের যানজট সৃষ্টি করে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করতে দিচ্ছে। মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে এবং এই কারণে রোগীর মৃত্যু, চাকরিচ্যুতিসহ নানা ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ট্রাফিক জ্যামটা শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা নয়। স্বাভাবিকভাবে সব জায়গাতেই যে ঝামেলা হচ্ছে, ট্রাফিক জ্যাম এরই একটা অংশ।
আমাদের দেশে গাড়ির লবি যেটা আছে তা থামাতে পারবে না। আমি ইউনিভার্সিটিতে এই ট্রান্সপোর্ট নিয়ে পড়েছি। আমি ওখানে দেখেছি যে, বেশিরভাগ মানুষের আসলে প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট তো নেই। বেশিরভাগ মানুষ গাড়িতেই চড়ে না। এটা বড় লোকের শহর, এই ট্রাফিক জ্যামটার কারণে বড় লোকও রেহাই পাচ্ছে না। আর এই যে কর্মদক্ষতার অভাব হয়, সেটাও সবাই সহ্য করে নিচ্ছে। সরকার কথা শোনার প্রয়োজন মনে করে না। আমাদের কাছে কোনো সমাধান নেই। যত পরিকল্পনা আছে, তা বাস্তবায়ন করা হয় না। আমাদের যেসব সমাধানের পথ রয়েছে, পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করলইে হয়ে যায়। সেটা আর কেউ করে না। সমাধানের কথা বলে লাভ কী? যারা আছেন বাস্তবায়ন করুক, তাহলেই হয়ে যাবে।
পরিচিতি: গবেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক
মতামত গ্রহণ: তানভীর হক তুহিন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ