চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংকট এবং সম্ভাবনা
আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চলচ্চিত্রের ব্যাপক কোনো অবদান নেই। আবার এটাও মনে রাখা উচিত, চলচ্চিত্রকে একদম হেলাফেলাও যাবে না। কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাদের ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের দিন বলেছেন, ‘আপনাদের যা যা লাগবে, আমি দিব।’ এখানে দুটো বিষয় বলা খুব জরুরি। চলচ্চিত্রের মানুষেরা যখন অসুস্থ হয়ে যান, তিনি তখন তাদের সাহায্য করেন। কাউকে ফিরিয়ে দেন না। ওই জায়গাতে তিনি কোনো দল দেখেন না। এটা আমার কাছে খুবই অপূর্ব মনে হয়েছে। এটিই তো মনুষত্ব। মানুষের তো এটাই করা উচিত। আমাদের জন্য একটা হাসপাতাল করা প্রয়োজন, যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়, এরকম একটা কিছু তিনি করে দিতে চাচ্ছেন। যেসব মেশিনারিজ লাগবে, তথ্য-মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেগুলোও দেওয়ার কথা তিনি বলেছেন। অর্থমন্ত্রী তখন সামনে বসা ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়কে ভাবতে হবে কী করে এগুলোর ব্যবস্থা করা যায়? ভাবতে ভাবতে না আবার সবকিছু ডুবে যায়। মানুষের মৃত্যুর সময় তাকে বাঁচাতে হলে কোরামিনটা সাথে সাথেই দিতে হয়। তা না হলে ডেড বডি দিয়ে কী হবে?
চলচ্চিত্র সমাজ বদলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত শিল্পী-কলাকুশলিদের নানা সমস্যা, সংকটের বিষয়টিও সবার খেয়াল রাখতে হবে। সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করতে যে অবদান রেখেছে চলে তার মর্যাদা দিতে হবে। যার যা প্রাপ্য তা দিতে হবে। আগামী দিনে চলচ্চিত্র আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
পরিচিতি: চলচ্চিত্র অভিনেতা
মতামত গ্রহণ: সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ