বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ মানবিক ও নৈতিকভাবে অনেক উন্নত
বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশ মানবিক ও নৈতিকভাবে অনেক উন্নত। মিয়ানমারের সুশীলসমাজ রোহিঙ্গাদের পক্ষে একটা মানববন্ধনও করেনি। করেনি এই বর্বরতা প্রতিবাদ। অথচ এখানে যখন বৌদ্ধ মন্দিরে আক্রমণ হলো, নষ্ট করে দেওয়া হলো সবাই ওখানে ছুটে গেল। আমাদের সেনাবাহিনী বৌদ্ধ মন্দির আবারও তৈরি করে দিল। এ বিষয়গুলো প্রমাণ করে যে, আমাদের সমাজ অনেক বেশি গতিশীল। এর ফলে আমার কাছে মনে হচ্ছেÑ রোহিঙ্গাদের আর ফেরত পাঠানো যাবে না। হয়তো একটা টোকেন নিবে, কিন্তু তারা আবারও ফিরে আসবে। ওখানে তারা থাকবে না। কারণ ওখানে রোহিঙ্গাদের কোনো শক্তিশালী নেতৃত্ব ওখানে নেই। না তাদের শক্তিশালী বিশ্বাল একটা অবস্থান আছে, না শক্তিশালী ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। ওরা ওখানে প্রান্তিক, ওদের কোনো কন্ঠস্বর ওখানে নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে একটা মানবিক কাজ করেছেন। তিনি দরজটা খোলে দিয়েছেন। তার উপর অনেক চাপ ছিল যে, আপনি ওদের এখানে আনবেন না। কারণ চট্টগ্রামের যারা স্থানীয় রাজনীতিবিদ রয়েছেন তারা জানেন যে, রোহিঙ্গারা মানসিকভাবে ডানপন্থার দিকে। তারা কখনো আওয়ামী লীগের সমর্থক হবে না।
তাদের জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি ব্যবহার করবে। জামায়াত বা বিএনপির পক্ষেই ওদের বেশি পড়ার কথা। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রচুর নেতা-কর্মী রয়েছেন যারা চাচ্ছিলেন না রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করুক। কিছুদিন পরই তারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট, স্মার্টকার্ড ব্যবহার করবে। কারণ এত দালাল চারদিকে, আওয়ামী লীগের ভেতরেও প্রচুর দালাল রয়েছে, যারা এসব নিয়ে বসে আছে, ব্যবসা করছে। আমাদের দেশেও কিছু আছেন যারা চায়নি রোহিঙ্গারা এখানে আসুক। শেখ হাসিনা অবস্থানটা না নিলে এতগুলো দেশ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যেত না। তিনি সবাইকে এ বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বানও জানিয়েছেন। শেখ হাসিনার সমালোচনাও করি আমরা। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রশ্নে সমালোচনার খুব বড় কোনো তিনি রাখেননি।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ, কথাসাহ্যিতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
অনুলিখন: সাগর গনি
সম্পাদনা: আশিক রহমান