রোহিঙ্গাদের ১৯ জন এইচআইভি আক্রান্ত রোগতাত্ত্বিক জরিপ চালু
তরিকুল ইসলাম সুমন : সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে আসা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের রোগতাত্ত্বিক জরিপ (ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ফাইলেরিয়া, কলেরা এবং এইচআইভি) চালু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত ১৯ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ২১ জন যক্ষ্মা ও ৬ জন ম্যালেরিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে ফাইলেরিয়ার কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২৯ শতাংশ ৫ বছর বয়সী। ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী রোহিঙ্গার সংখ্যাও রয়েছে ২৯ শতাংশ। ৩৮ শতাংশ রোহিঙ্গা ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী আর ৬০ বা তার বেশি বয়সের রয়েছে ৪ শতাংশ রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে ৩ শতাংশ (প্রায় ২০ হাজার) নারী গর্ভবর্তী আর শতকরা ৭ শতাংশ নারী তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করান। উখিয়াসহ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া এলাকাগুলোর ১৬টি স্থায়ী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং ১২টি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২৮টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র সেবা দিচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, এসবের মধ্যে ২টি মেডিকেল কলেজ, ২টি সদর হাসপাতাল, ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, একটি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ১২টি অস্থায়ীভাবে নির্মিত স্বাস্থ্য ক্যাম্প রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর ১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও সহযোগিতা করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ৭টি সংস্থা, ১৪টি আন্তর্জাতিক এবং ১৯টি দেশীয় এনজিও ছাড়াও ৪৩টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ও ২১টি অ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা দলের মাধ্যমে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮১৮ জানকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ হাজার ১১৩ জন আঘাতজনিত, ১৯ হাজার ৯৭৩ জন ডায়রিয়ায়, ৩১ হাজার ৭৯ জন শ্বাসযন্ত্রের রোগে, ত্বকের রোগে ১১ হাজার ৮৪৯ জন ও অন্যান্য রোগে ৫৫ হাজার ৮০৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ