মিয়ানমার উস্কানি দিলেও আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাটা চালিয়ে যেতে হবে
আনোয়ার হোসেন : মিয়ানমার বিভিন্ন সময় আমাদের উস্কানি দিচ্ছে, আকাশ সীমা লঙ্ঘন করছে। কিন্তু এ উস্কানিতে পা দেয়া যাবে না। আসলে যুদ্ধ কোন সমাধান নয়। সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে। এটি দীর্ঘ সময়ের ইস্যু, আরেকটি নতুন ইস্যু এসে যেন বিষয়কে মুছে না দেয়।
সোমবার বাংলাভিশনের টক শো “নিউজ এন্ড ভিউজ” অনুষ্ঠানে একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মুন্জুরুল হাসান বুলবুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আরসা আসলে মুক্তিকামী মানুষের সংগঠন না সন্ত্রাসী সংগঠন? এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। তবে আমাদের কথা হচ্ছে, মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের দমন করা অধিকার আছে। তবে সেটি কেন শুধু রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে। আরসার সদস্য যদি মাত্র ৪০০ হয়, তার জন্য কেন ১০ লক্ষ লোককে দমন করতে হবে। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে কত দ্রুত এদেরকে ফেরত পাঠানো যাবে। এক্ষেত্রে আমাদের অ্যাগ্রেসিভ কূটনীতিটা থাকতে হবে। মিয়ানমান কিন্তু গণহত্যাকে সরাসরি সমর্থন দিচ্ছে। যেখানে আমরা আমাদের বন্ধুদের সাহায্য কিন্তু পাচ্ছি না। চীন, ভারত, রাশিয়া সরাসরি মিয়ানমারের ভাষায় কথা বলছে। ভারত মিয়ানমারের অভিযানকেও সমর্থন দিবে আবার রোহিঙ্গাদের সাহায্যও করবে। তবে মালেয়েশিয়া, মালদ্বীপ, তুরস্কসহ আরো যারা আছে এদের নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতাটা অব্যাহত রাখতে হবে।
এ সময় বিডি নিউজের সিনিয়র এডিটর আমানুল্লা কবির বলেন, ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের সবাই একমত। পদ্ধতিটা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। তবে আমাদের কূটনৈতিক ভাবে অনেকের কাছে যেতে হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীও রাশিয়া, চীন, ভারতে যেতে পারে বা কোন টীম পাঠাতে পারেন। এভাবে কূটনৈতিক সমর্থনটা আদায় করা যেতে পারে। যেমন ৭১ এ ভারত বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক তৎপরতাটা চালিয়েছিলো। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি