টকশো থেকে ছুটির বিষয়টি নিজ মুখে জানানো উচিত প্রধান বিচারপতির
Ñহাবিবুর রহমান হাবিব
আরিফুর রহমান তুহিন : বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, যেহেতু প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং ছুটির আবেদন পত্রের বানানে যথেষ্ট পরিমাণে ভুল আছে তাই প্রধান বিচারপতিকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার করা উচিত। রবিবার রাতে সময় টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়তে তিনি এসব বলেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটির জন্য যে আবেদন করেছেন সেখানে ৫টি মারাত্মক ভুল রয়েছে। তিনি যে শব্দগুলো সেখানে ব্যাবহার করেছেন তা বাংলা ভাষায় আছে বলে আমার জানা নাই। আমি বিস্মিত, এই আবেদন যদি তিনি লিখে থাকেন তাহলে তার মত একজন অযোগ্য মানুষকে প্রধান বিচারপতি বানানো হল কিভাবে? আর রাষ্ট্রপতিও বা এই কাগজে কিভাবে স্বাক্ষর করলেন। এছাড়া, বার কাউন্সিলের সদস্যদের সাথে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে না যেতে দেওয়ার ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার মতে, এই বিচারপতি আওয়ামী লীগের লোক। ১৬তম সংশোধনী যেহেতু বিচারপতিদের মর্যাদার প্রশ্ন ছিল তাই তিনিসহ বাকি বিচারপতিরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আর এর জেড়েই তাকে জোড় করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি। সরকারি দল বিএনপির এই রাজনীতির জবাব দিচ্ছে। ওনার যে প্রসেসে ছুটি নেয়ার কথা সেই প্রসেসেই ছুটি নিয়েছেন। এখন উনি সকলের কাছে ব্রিফিং করে জানাবেন কিনা সেটা ওনার ইচ্ছা। আমরা কেবল দাবি করতে পারি। গৃহবন্দীর ব্যাপারে তিসি বলেন, উনি সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওনার সহকর্মীরাও এটা মেনে নিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, বিএনপি এটা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছেন। তাদের কি অন্য কোন পরিকল্পনা ছিল।
সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, প্রসঙ্গটি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। জাতি যেখানে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে তাকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। সব কিছুকে রাজনীতির অঙ্গনে আনা উচিত না। আওয়ামী লীগ যদি তাকে ছুটিতে পাঠায় তাহলে তাদের লাভ কি?। যে রায় নিয়ে বিতর্ক সরকার এটার কিছু পর্যবেক্ষণ চাবে বলে জানিয়েছে। প্রধান বিচারপতি যদি বেঞ্চে না থাকে তাহলে কেউ এই বক্তব্য পরিবর্তন করতে পারবে না। তাহলে ক্ষতিতো সরকারেরই হবে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি