১০ হাজার তরুণ-তরুণীকে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ দেবে এলআইসিটি ও ফেসবুক
তানভীর আহমেদ : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্প থেকে আইটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০ হাজার তরুণ-তরুণী ও উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর ৬ মাস প্রশিক্ষণ দেবে ফেসবুকের বুস্ট ইউর বিজনেস প্রোগ্রাম। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) পারস্পরিক যোগাযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি পণ্যের বিপণনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফলে মাধ্যমটি হয়ে উঠেছে ভার্চুয়াল বাজার। দিন দিন ফেসবুকে কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত হচ্ছে ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে কাজে লাগাচ্ছে। তাই সরকারের এলআইসিটি প্রকল্প ও ফেসবুকের যৌথ উদ্যোগে ১০ হাজার তরুণ-তরুণী ও উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আশা করি এ উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আইসিটি ডিভিশন ও ফেসবুকের ‘বুস্ট ইউর বিজনেস’ দেশে উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থানে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এ সময় তিনি বহুল প্রত্যাশিত অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পেপাল এর কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর অনলাইন প্লাটফর্ম পেপাল বাংলাদেশে উন্মোচন করা হবে। পেপাল বাংলাদেশের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় ছিল। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসারের জন্য এবং ডিজিটাল ট্রানজেকশনের জন্য আমাদের পেপাল আসলে প্রয়োজন। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হিসেবে পেপালের থেকে এত সহজ এবং মসৃণ আর কোনো পথ নেই। আমরা গত সাড়ে ৩ বছর ধরে পেপালের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি অ্যাডভাইজার সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা প্রথমে কাজ শুরু করি জুমের সঙ্গে। কারণ আমরা একটা খবর পেয়েছিলাম জুম ও পেপাল একত্রিত হতে যাচ্ছে। জুমকে অ্যাকেয়ার করে নিচ্ছে পেপাল। ফলে আমরা ২০১৪ সালের শেষের দিকে জুমের সঙ্গে বারবার বৈঠক করি, পেপালের সঙ্গেও বৈঠক করি। ইতোমধ্যে জুম এবং পেপাল একত্রিত হয়ে গেছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ