তিন শিশুসহ জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজার আত্মসমর্পণ
এম এ আর মশিউর যশোর : যশোরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে অবস্থান করা নারী খাদিজা তার বাবার অনুরোধে তিন শিশু সন্তান নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণের পর পরই খাদিজা ও তার তিন সন্তানকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাদের কোথায় নেয়া হয়েছে তা পুলিশের কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে বেলা পৌনে তিনটার দিকে খাদিজার বাবা-মাকে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ঘিরে রাখা বাড়িতে আনা হয়।
যশোর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, খাদিজাকে আত্মসমর্পণে রাজি করাতে তার বাবা-মাকে পাবনা থেকে আনা হয়েছে। তাদের বাড়িটির নির্ধারিত ফ্ল্যাটেও পাঠানো হয়। খাদিজার বাড়ি পাবনায়। তিনি স্বামীর সঙ্গে যশোরের ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে তার স্বামীকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত রোববার ১০ টা থেকে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ওই বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। যার মালিক যশোর জিলা স্কুলের এক শিক্ষক। পরে মাইক্রোবাসযোগে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। সকালেই পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত মারজান জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সবচেয়ে কম বয়সী কমান্ডার ছিলেন। গত ৬ জানুয়ারি রাতে রাজধানীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন তিনি। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু