নিরবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ডাক বিভাগ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : ডাক বিভাগের সেবার মান বেড়েছে। নিরবে কাজ করে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ‘সেবাই আদর্শ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ডাক বিভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। ডাকঘর থেকে শুরু করে দেড়শ বছরের ইতিহাস ধরে রেখেছে এই বিভাগ।
ডাক বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি নানাভাবে সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। যদিও এই প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলো নিয়ে তেমন একটা প্রকাশ নেই। ডাক বিভাগের সেবাগুলো সম্পর্কে মানুষ যদি জানতে পারে তাহলে আরো ভালো হয়। তিনি বলেন, ডাক বিভাগ গ্রামের মানুষের কাছে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি প্রবাসীদের কাছে এবং শহরেও জনপ্রিয়। ডাক বিভাগ জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।
ডাক বিভাগের মূল সেবা রয়েছে ১১টি। এর সঙ্গে এজেন্সি সেবাও রয়েছে অনেক। মূল সেবা হিসেবে সাধারণ চিঠিপত্র, রেজি: চিঠিপত্র, জিইপি, ইএমএস, সাধারণ মানি অর্ডার, ইলেকট্রনিক মানি অর্ডার, পোস্টাল ক্যাশ কার্ড, পার্সেল সার্ভিস, ভিপিপি, ভিপিএল ও ডাক টিকেট বিক্রয়। এছাড়াও এজেন্সি সার্ভিস হিসেবে ডাক জীবন বীমা, সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র বিক্রয় ও ভাঙ্গানো, প্রাইজ বন্ড বিক্রয় ও ভাঙ্গানো, সরকারের সকল প্রকার টিকেট মুদ্রণ ও বিতরণসহ অন্যান্য।
জানা গেছে, এই সংস্থার অন্যতম একটি সেবা ইলেকট্রিক মানি ট্রান্সফার কার্যক্রম। যা সর্বপ্রথম শুরু করে এই ডাক বিভাগ। আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধার আদলে সারাদেশের ডাকঘরগুলোতে ‘ক্যাশ কার্ড’ ও ‘ইলেক্ট্রনিক মানি অর্ডার’ নামে দুটি আধুনিক সেবা চালু করা হয়েছে। এ দুই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব সহজেই যেকোনো ডাকঘর থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বল্প খরচে নগদ টাকা আদান-প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও মাত্র ৪৫ টাকার বিনিময়ে পাওয়া ক্যাশ কার্ডে কোনো গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারবেন। জমানো এ টাকা গ্রাহকরা দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করতে পারবেন।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলেকট্রনিক মানি সার্ভিস উদ্বোধন করেন। একই বছরে ৫ মে হতে সার্ভিসটির কার্যক্রম বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডাক বিভাগ একটি। ডাক বিভাগে খরচের হিসেবের চেয়েও সেবার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়। তিনি জানান, ডাক বিভাগের এজেন্ট সেবা সঞ্চয় ব্যাংকে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার ট্রানজিট হয় এবং প্রতি মাসে ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার ট্রানজিট হচ্ছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ