ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তায় মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের শাস্তি
কামরুল হাসান : বাংলাদেশে জীবন বাঁচানোর তাগিদে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংকটের মূল নেপথ্যে থাকা মিয়ানমারের উচ্চপদের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চিন্তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক ডজনের ওপর কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তার কথায় মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ভাবনার কথা উঠে এসেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক প্রায় এক ডজনের বেশি কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা মিয়ানমারের উচ্চপদের সেনাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস এজন্য আরও কিছুদিন সময় নিতে পারে। একই সঙ্গে রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বাড়ানোরও আলোচনা চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী ১৬ অক্টোবর মিয়ানমার নিয়ে আলোচনায় বসবেন। তবে এই বৈঠকেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ আসবে না বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
এক মাস আগেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি আলোচনায় ছিল না জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এতেই প্রমাণিত হয় মিয়ানমারে ঘর-বাড়ি ছেড়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়া পশ্চিমা নীতিনির্ধারকদের কতোটা চাপে ফেলেছে।
উল্লেখ্য, রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে মাসখানেকের মধ্যে সোয়া ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে, ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এই হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সমালোচনাও অবিরামভাবে চলছে। সূত্র : জাগো নিউজ, সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ